জাফলং আর বিছনাকান্দি
সারা বাংলায় চিনে
গোয়াইন ঘাট আর জৈন্তাপুর
চিনিয়াও না চিনে |
লাল খালের লীলা পানি
দেখতে অপরূপ !
রাতারগুলের জলার বনে
জুড়ায় সবার চোখ !
গ্যাসের কিংবা তেলের খনি
কি আমাদের নাই ?
বড় দালান করতে গেলে
সারির বালু চাই।
শীতলপাটি’র মুর্তাবন আর
চা বাগানে চুপ,
থমকে দেখো গুয়াইনঘাট আর
জৈন্তাপুরের রূপ !
ঝর্ণা আছে নদী আছে
পাহাড় সারি সারি,
সাতকরা আর জারা লেবু
মোদের বাড়ি বাড়ি |
বিলের বোয়াল ঝিলের চিতল
বিরণ ভাতে গুড়,
লাইপাতা আর শুঁটকি শিরার
স্বাদ কত মধুর |
লুকলুকি আর ভুবি’র মজা
লাগেই বড় খাঁটি,
এ স্বাদ পেতে হতেই হবে
জৈন্তা, গুয়াইন ঘাটি |
ঝগড়া বিবাদ নেই বলতেই
নেইকো হানাহানি,
সুখে দুঃখে ময়মুরুব্বীর
বিচার সদা মানি |
আয়রে তরুণ আয়রে যুবক
স্বপ্ন নিয়ে বুকে
এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিলে
কে দেখি আজ রুখে ?
—— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, বিপিএম, পিএসসি
পুনশ্চঃ
আমি কবি বা ছড়াকার নই। আজন্ম শহরে বেড়ে ওঠার পরেও বাপ দাদার জন্মভূমি গ্রাম সোঁদা মাটির গন্ধ কিংবা সবুজ বন আমাকে ছোটবেলা থেকেই হাতছানি দিয়ে ডাকে। আমি পেশা জীবনে প্রবেশ করার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে। তখন দেখেছি সিলেট জেলাকে সবাই একটি উন্নত ধনী এলাকা হিসাবে গণ্য করলেও জৈন্তা গোয়াইনঘাট এলাকাকে মানুষ অনগ্রসর এলাকা হিসেবেই মনে করে এবং এক প্রকার অবজ্ঞার চোখে দেখে। বিষয়টি আমি উপভোগ করি। কারণ যুগ যুগ ধরে ইতিহাস এটাই প্রমাণ করে যাদেরকে অবজ্ঞা অবহেলা করা হয় তারাই শেষ পর্যন্ত উঠে আসে।