দয়াল কৃষ্ণ সানা, প্রতিনিধি, খুলনা।
বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ, খুলনা জেলা শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি কার্তিক কুমার বিবেককে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে কয়রার মহারাজপুুর ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামের ছদর উদ্দীন গাজীর পুত্র(১) আব্দুল আজিজ (৫৫), আব্দুল আজিজের পুত্র (২) আজাহার মাহমুদ (২২), আবু তালেব সরদারের পুত্র (৩) আবুল হাসান (৩৮), মাদারবাড়ীয়া গ্রামের আমজেদ সানার পুত্র (৪) রিপন (৩০), দেয়াড়া গ্রামের মাওলানা মুক্তারুজ্জামানের পুত্র (৫) রেজোয়ান (২৫), একই গ্রামের মঞ্জুরুল গাজীর পুত্র (৬) বাহারুল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্দুল আজিজের পুত্রবধু (৭) শারমিন (২১)- কে দিয়ে ২৭ মার্চ আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি, রড ও ইট দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ঐ রাতেই কার্তিকের বাবা, মা, বোন ও আত্মীয় স্বজনরা গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের সামনেও অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এসময় কার্তিকের ষাটোর্ধ পিতা মন্টু মণ্ডল ঠেকাতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী তাকেও রেহাই দেয়নি। আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে পুলিশে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ প্রথমে হেফাজতে নিতে অস্বীকার করলেও কার্তিকের বাবার অনুরোধে কয়রা থানা হেফাজতে নিলেও কোনো রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বিভিন্ন তাল- বাহানার পরে ৯(৪)খ ধারায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়ে চালান করে দেয়।
উল্লেখ্য গত বছরও এই সন্ত্রাসী বাহিনী একইভাবে এই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অজুহাতে বাড়ী যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে ধরে মারধোর করে থানায় সোপর্দ করে। সেদিনের কয়রা থানায় উপস্থিত হয়ে তাদের অজুহাত ছিলো সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ৯টার দিকে ঐ মহিলার ফোনে বিরক্তসহ জানালা দিয়ে মহিলাকে ডাকাডাকি করেছে।
কিন্তু ঐদিন কার্তিক, আমি, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বরুণ প্রকাশ মণ্ডল সহ আমরা সাংগঠনিক প্রোগ্রামে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুড়িখালী বাজার সংলগ্ন রামকৃষ্ণ আশ্রমে অবস্থান করেছিলাম মর্মে প্রোগ্রামের ছবিসহ বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করলে তাদের চক্রান্ত নশাৎ হয়ে গেলেও ঐ মহিলার শ্বশুর আব্দুল আজিজ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে থানা থেকে চলে যেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসতে থাকে।
এই ঘটনা জানার পর ২৯ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল যৌথভাবে পরিদর্শন করেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কয়রা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। পরিদর্শণকৃত নেতৃবৃন্দ হলেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার বৈরাগী, অধ্যক্ষ অদ্রীশ আদিত্য মণ্ডল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, প্রভাষক বিদেশ রঞ্জন মৃধা, প্রভাষক চন্দন রায়, প্রভাষক সুব্রত সরকার, দয়াল মুণ্ডা, প্রসেঞ্জিত সরকার, অনুপ রায়, রনজিৎ মুণ্ডা প্রমুখ।
কার্তিক কুমার বিবেকের উপর ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বাড়ী থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনসহ হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা ও দিনভর থানায় রেখে কোনোরূপ চিকিৎসা সেবার বাবস্থা নাকরার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন উক্ত নেতৃবৃন্দ।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ