ইমরান সরকার :- রাস্তা পাকাকরণে কাজ শুরুর ৪ দিনেই উঠে যাচ্ছে

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভা ও ৫ নং মহদীপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ১ হাজার ৫ শত মিটার রাস্তা ৪ দিন পরই পিচ ঢালাই সড়কের (কার্পেটিং) উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেসার্স মনি ইন্টার প্রাইজ স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মুকুল এর বিরুদ্ধে এলজিইডি সহ প্রকৌশলী কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলায় ঠিকাদারের এমন দুর্নীতি অনিয়মের প্রশ্রয় পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শুরু করেছিলেন ঠিকাদার। শুরুর চার থেকে পাঁচ দিন পরই হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচ ঢালাইয়ে কার্পেটিং। তাছাড়া কার্পেটিং করার আগে সড়কটি পরিষ্কার না করে ধুলো ময়লার উপরে শুরু করেছে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। ধুলা মিশ্রিত পাথর, নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় রাস্তার এমন বেহাল দশা হয়েছে। তাছাড়া ঠিকাদার ও এলজিইডির প্রকৌশলীদের যোগসূত্রে নিম্নমানের ও কমদামী সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

জানা যায়,ড্রিমল্যান্ড এর পূর্বপাশ্বে ৫ শত মিটার থেকে দূর্গাপুরের ২ হাজার মিটার সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মনি ইন্টার প্রাইজ। সেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর কর্মকর্তাদের যোগসাজশের ফলে শুরু হয় নিম্নমানের কার্পেটিং কাজ। তবে সেই কাজে স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।এলজিইডি তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১ কোটি ২১ লাখ ৮৯হাজার ৬৭৭ টাকার ব্যয়ের সড়ক সংস্কারে প্রকল্পটি পেয়েছেন মেসার্স মনি ইন্টার প্রাইজ স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মুকুল ।

সরেজমিন দেখা যায় পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) কাজ চলমান। কিন্তু দূর্গাপুর নতুন বাজারের পশ্চিম পাশ্বে সড়কে স্থানীয়রা হাত দিয়ে পিচ ঢালাই তুলে ফেলছেন।

কার্পেটিং পিচ উঠতে দেখে সাংবাদিকদের ফোনে ছুটে আসেন সড়কে পরিদর্শনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ।

স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু বলেন, নিম্নমানের বিটুমিন কম ও সড়ক পরিষ্কার না করেই পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার ফলে রাস্তার পিচ হাত দিলে উঠে যাচ্ছে। এভাবে হলে সরকারে টাকা শুধু অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

মেসার্স মনি ইন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মুকুল এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি রাস্তা থেকে ঘুরে এলাম যদি কোথাও কোন সমস্যাই হয় এক বার না হয় চার বার ঠিক করে দেবো।

সড়ক সংস্কারের কাজে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জানান কোথাও একটু অনিয়ম হলে তা ঠিক করে নেওয়া হবে।

সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়ে ফোনে জানতে চাইলে এলজিইডি উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আলমঙ্গীর হোসেন বলেন আমি লোক পাঠিয়ে দিয়েছি ঘটনা সত্যতা পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তবে এলাকাবাসীর দাবি এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির কাজ সঠিক ভাবে বুঝে নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্বধন কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।