লাকী আক্তার :জেলা প্রতিনিধি:
বাদী :কামাল উদ্দিন(৪৮)পিতা – মৃত মোঃ আজাদ উদ্দিন। সাং- পশ্চিম দর্পনগর, পোস্ট :সড়কের বাজার,থানা – কানাইঘাট। জেলা – সিলেট।মামলা নং হচ্ছে কানাইঘাট জি.আর -১৬৬/১৭ ইং
ধারা হচ্ছে -৩০২/৩৪ দ:বি।কানাইঘাট থানার মামলা নং ১৬. মামলাটি করেন ৩/২/১৭ ইং তারিখে।
বিবাদী :আহমদ আল মাসুদ শাহীন( ৩১)পিতা -মোঃ আফতাব উদ্দিন।সাং পশ্চিম দর্পনগর, পোস্ট :সড়কের বাজার,থানা – কানাইঘাট। জেলা – সিলেট।
১ নং আসামী তাহাকে বিগত ৭/৩/১৭ ইং তারিখে তাহার বোনের বাসা কানাইঘাট উপজেলা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ৮/৩/১৭ ইং এই তারিখে অনেক অনলাইন মিডিয়া ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আহমদ আল শাাসুদ শাহীনকে পুলিশ গ্রেফতার এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগে বর্ণিত ১-৪ নং বিবাদিগণের সম্পর্কে চাচাতো ভাই ও ৫ নং বিবাদী সম্পর্কে আমার ফুফাতো ভাই। ১-৪ নং বিবাদিগণ আমি একই বাড়িতে বসবাস করিয়া আসিতেছি, বিবাদী আহমদ আল মাসুদ শাহীন আমাদের সাথে আমাদের বসতবাড়ি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরুধ চলিয়া আসিতেছে।গত -২০/১/২০১৭ ইং তারিখে দুপুর ২.০০ ঘটিকায় বিবাদী আহমদ খান মাসুদ শাহীন আমাদের বসতবাড়ি জায়গা জবরদখল করার উদ্দেশ্যে, হাতে কুড়াল নিয়ে আমাদের রোপনকৃত বিভিন্ন জাতের গাছপালা কাটিতে থাকে। ওই সময় আমার পিতা আজাদ উদ্দিন দেখিতে পাইয়া বিবাদী আহমদ আল মামুন শাহীনকে বাধা দিলে, বিবাদী আহমদ আল মাসুদ শাহীন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে হুমকি দেয়। আশপাশের লোকজন থাকার কারণে আহমদ আল মাসুদ শাহীন এর কবল হইতে আমার পিতা কে উদ্ধার করেন। আমার পিতা নিরুপায় হইয়া বিবাদী আহমদ আল মাসুদ শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করিলেন, যাহার কানাইঘাট থানর সাধারণ ডায়েরী নং -৫৯০,এবং ২২/১/২০১৭ তারিখে মামলাটি লিপিবদ্ধ হয়। আমার পিতা আজাদ উদ্দিন বিবাদী আহমদ আল মামুন শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কারণে, অদ্য ২/২/২০১৭ ইং তারিখে সকাল ১০. ০০ ঘটিকার সময় বিবাদী আহমদ আল মাসুদ আমাদের বসতঘরের উঠানে আসিয়া আমার পিতার নাম ধরিয়া গালিগালাজ করে। এখন আমার পিতা ঘর থেকে বের হয়ে, গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞেস করলে, বিবাদী তখন ঘর থেকে দা নিয়ে আসার জন্য বলে। তখন ৩ নং আসামী সুলতান আহমদ মুজিব, ১ নং আসামীর ঘর থেকে রামদা নিয়ে দেয়।বিবাদী আহমদ আল মাসুদ শাহীন উত্তেজিত হইয়া কামাল উদ্দিন এর পিতা- আজাদ উদ্দিন কে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে মাথায় কূপ মারিলে উক্ত কূপের কারণে বাদীর পিতা আজাদ উদ্দিন সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য আসামীগণ সহ ১ নং আসামী আমার পিতার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য, তাদের হাতে থাকা রামদা ও অন্যান্য আসামিগণের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পরপর কয়েকটি কোপ মারিলে আমার পিতার গাড়ে ও অপর একটি কূপ বাম কাঁধের নিচে পড়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই আমার পিতা সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন। বাদী কামাল উদ্দিন সাথে সাথে কানাইঘাট থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান । সঙ্গে সঙ্গে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে,ও ১ নং আসামীসহ অন্যান্য আসামিগণের অস্র গুলো উদ্ধার করে।পুলিশ এলাকার মুরুব্বিয়ানদের সাথে কথা বলে বাদীর পিতার সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাস্ট মর্গে প্রেরণ করেন।বিবাদীর বিশ্বাস তার পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।