স্টাফ রিপোর্টার:
জয়পুরহাটের কালাইয়ে ১ কিস্তি বাকেয়া রাখায় ফিল্মি স্টাইলে রাস্তা থেকে ইজিপাওয়ার নিয়ে গেলেন, বিজ (BEES) এনজিও কর্মীরা। বাংলাদেশ এক্সট্রেনশন এডুকেশন সার্ভিসের (বিজ) একটি বেসরকারি ঋন প্রদান কারী সংস্থা। দেশের বেশ কিছু জেলার পাশাপাশি জয়পুরহাট কালাই উপজেলায় স্থান করে নিয়েছেন এ সংস্থাটি। উপজেলার সিনেমা হলের অপজিটে ২ তলা বিল্ডিং এলাকায় বিভিন্ন গ্রাহকদের ঋন সেবা প্রদান করে আসছেন সুনামের সাথে। সম্প্রতি ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়ন খড়িকাটা গ্রামের বোরহান আলী ও চাম্পা বেগম দম্পতি বেশ সুনামের সাথে ঋন কার্যক্রমে জরিত থেকে অর্থ আদান প্রদান করে আসছিলেন। বিগত কয়েক মাস আগে একটি লেনদেন রিকোভার করেন তিনি, এর পরে আবার ৬০০০০ টাকা ঋন গ্রহন করেন মর্মে প্রমান মিলেছে। বোরহান আলী ও চাম্পা বেগম দম্পতির পাস বই এ উল্লেখ আছে গত জানুয়ারি মাসে তিনি (বিজ) কে ৬০০৬ টাকা প্রদান করেন। এ ছাড়া পারিবারিক সমস্যার কারনে ফেব্রুয়ারিতে ৬০০৬ টাকা দিতে অক্ষম হবার কারনে তিনি ৪০০০ টাকা দিয়েছেন বলে সাংবাদিক দের জানিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে বাঁকি ২০০৬ টাকা প্রদানে খেলাপি হবার কারনে (বিজ) কর্তৃপক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১২:৩০ মিনিটে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কালাই শাখার হেড মেনেজার সুসান্ত কুমার, ও এরিয়া মেনেজার সাদেকুল ইসলাম সহ, প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন ফিল্ড অফিসার কালাই বাসস্ট্যান্ডের বিপরিতগামী রাস্তা কোরবান আলী ডিম ঘরের সামনে, ইজিপাওয়ার চালক বোরহান আলীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এসে, হেড মেনেজার সুসান্ত কুমার ও এরিয়া মেনেজার সাদেকুল ইসলাম, এর সাথে হাতাহাতি হতে শুরু করে। উক্ত ঘটনার জেরে বোরহান আলীর চালিত ইজিপাওয়ার টেনে হিছড়ে (বিজ) কালাই আঞ্চলিক অফিসে নিয়ে যায়। এ ঘটনার জেরে বোরহান আলী নিজ এলাকা বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়াড মেম্বার জাকারিয়া হোসেন রুমিকে ফোন কলে বিস্তারিত জানালে, মেম্বার রুমি (বিজ)এর মেনেজার সুসান্ত কুমার এর সাথে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে সুসান্ত কুমার মেম্বার রুমিকে জানান, আপনি ফোন করার কে? আপনার এলাকার চেয়ারম্যান আমাদের পকেটে থাকে। ভুক্তভোগী পরিবার এমন সময় দিশে হারা হয়ে পড়লে সাংবাদিক দের দারস্থ হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে সত্ততা প্রমানিত হয়, এ সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্টাফ দের সঙ্গে কথা বললে, তারা সাংবাদিক দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন, ও বলতে থাকেন যা কিছু হবে সেটি থানাই গিয়ে দেখা যাবে। বেলা ১টা ১৫ মিনিটে মেম্বার জাকারিয়া হোসেন এর সাথে কথা কাটাকাটি হবার পরে উক্ত( বিজ)এর মেনেজার ভুক্তভোগী বোরহান আলীর নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের বিষয় ক্ষতিয়ে দেখেন কালাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াসিম আল বারী।
এ সময় সাংবাদিক এস এম মিলন (ওসি) ওয়াসিম আল বারী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনজিও কর্মিদের কোন আইন নেই গ্রাহকের ইজিপাওয়ার নিয়ে যাওয়ার। যদি তাদের টাকা আদায়ে একান্ত অসুবিধা হয় তাহলে, তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারে।। এমন ব্যাবহার করা তাদের চরম অন্যায়। এ সময় এনজিও কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভুল শিকার করে একটি লিখিত খসরার মধ্যে দিয়ে ভুক্তভোগী বোরহান আলীর হাতে কালাই থানা পুলিশের একটি টিম উপস্তিত থেকে ভুক্তভোগীর হাতে ইজিপাওয়ার তুলে দেন।