স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ গোলাম মোরশেদ: জয়পুরহাটের পাঁচবিবির আয়মা রসূলপুর ইউনিয়নের কালিতলা বাঁধের ব্রীজ ও এললার ঘাটের ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়াই এলাকাবাসীর ভোগান্তি দুর্ভোগ ও কষ্টের শেষ নেই। উভয় ব্রিজের একই অবস্থা ব্রিজের এপার থেকে ওপারে যেতে হলে গ্রামবাসীর বর্ষার পানিতে সাঁতার দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও ফসলী জমিতে গোবরসার নামা ও হাল চাষ করতে হলে বার বার এপার ওপার পাড়া পার করতে হয়। এই সমস্যাটি গ্রাম বাসীর বৃহত সমস্যা হয়ে দ্বাড়িছে, এছাড়াও বিশেষ সমস্যা ব্রিজের এপার থেকে ওপারে গ্রামের কোন মানুষের মৃত্যু মৃত্যুর ব্যাক্তিদের মাটি দিতে যাওয়া,খুবই কষ্ট কর ব্যাপার, এবং কোন মানুষ অসুস্থ হলে ফায়ার সার্ভিস ও এ্যামবোলেন্স আসতে পারেনা। বিশেষ দূর্অবস্থায় পরিনিত হয়েছে কালিতলা বাঁধের ব্রিজের সামনে কয়েক বিঘা আবাদি ও ফসিল জমি ভেঙ্গে নদীতে চলে যাচ্ছে এই ফসলি জমি ভাঙ্গা রোধ করা গ্রামবাসীর পক্ষে মোটেও সম্ভব নয় ব্রিজ পুর্ননির্মাণ করা ছাড়া। এই নদীতে ভেঙ্গে যাওয়া ফসলি জমিগুলি গ্রামের খেটে খাওয়া গরীব অসহায় মানুষ গুলো অনেক পরিশ্রম করে অন্য কারো কাছ থেকে বন্ধক নিয়েছে যে দুমুঠো ফসল ফলিয়ে সংসারে আর্থ সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু এখন সেই চেষ্টাটুকুও ব্যর্থ কালিতলা ব্রিজেটি ভেঙে যাওয়ার কারণে। আমায় রসুলপুর ইউনিয়নের কালিতলা ব্রিজ ও এললার ঘাটের ব্রিজ ভাঙ্গার কারণে গ্রামবাসী তথা আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের যাতায়াতের জন্য নানামুখী সমস্যা সৃষ্টি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এলাকাবাসীর বিশেষ চাওয়া ও আকুতি বাংলাদেশ সরকার তথা রোডের ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা ও কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে যে আমাদের এই দুটো ব্রিজ ওই পুনরায় নির্মাণ করে দিলে এলাকাবাসী নানা মুখী সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে সাংবাদিকদের জানাই। এ দুটো ব্রিজ সাংবাদিকরা দেখতে গেলে আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিল্টন চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে গিয়ে কালিতলা বাঁধের ব্রিজও এললার ঘাটের ব্রিজের বর্তমান অবস্থা সশরীরে পরিদর্শন করেন।ঘটনাস্থলে চেয়ারম্যান কে দেখে সাবেক চেয়ারম্যানের দিয়ে যাওয়া ব্রিজের অবস্থার কথা বর্তমান চেয়ারম্যান কে গ্রামবাসী সকলেই মিলে বলেন সাবেক চেয়ারম্যান যে ব্রিজটি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিল এই ব্রিজটিতে যাতায়াতের জন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামবাসীর কোন লোক জন এললার ঘাটের ব্রিজের উপর দিয়ে এপার থেকে ওপার যেতে পারেনি বলে এমন অভিযোগ করেন বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে। গ্রামবাসীর মুখে নানা সমস্যার কথা শুনে বর্তমান চেয়ারম্যান মিল্টন চৌধুরী বলেন দুটি ব্রিজঐ যদি ৫০ ফিটের মধ্যে হয় তাহলে আগামীতে পুনরায় নির্মাণ করে দেবেন বলে গ্রামবাসীকে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরিশেষে আর্জি অনন্তপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও উত্তর পাড়া গ্রাম সহ আশেপাশের গ্রামগুলোর মানুষের প্রাণের একটায় দাবি কালিতলা বাঁধের ব্রিজ ও এললার ঘাটের ব্রিজ পুর্নর নির্মানের জন্য সরকারি কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন আর্জিঅন্তপুর গ্রাম বাসীরা।