ক্রাইম রিপোর্টার জসিম হোসেন ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বেথুলী গ্রামে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার পর, আরাক নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করে ডুবুরির দল। নিহতদের নাম ফাতেমা খাতুন (১০) ও তাসমিন (১১)। এই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে জীম খাতুন (১০) নামে এক শিশু।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে। জানা যায় ফাতেমা, তাসমিন এবং জীম বাড়ির পাশের পুকুরে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে ফাতেমা পানিতে নেমে সাতার কাটা শুরু করে। তার এই কাণ্ড দেখে তাসমিন ও পানিতে নামে। দুজনই একে অপরকে ধরাধরি করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। তাদের তলিয়ে যেতে দেখে জীম খাতুনও তাদের উদ্ধার করতে পানিতে নামে। তবে কিছু সময় পর জীমও পানিতে তলিয়ে যায়।
এই অবস্থায় তাদের উদ্ধার করতে পাশে থাকা এক খেলার সাথী সাব্বির হোসেন চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশী রহমত আলী এসে জীম খাতুনকে উদ্ধার করেন। তবে পানির গভীরতা বেশি থাকায় ফাতেমা এবং তাসমিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে পানির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট হওয়ায় তারা বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ তাসমিনকে উদ্ধার করতে না পারলেও পরবর্তীতে উদ্ধারে সক্ষম হয়।
নিহত ফাতেমা খাতুন বেথুলী মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট। ফাতেমা বেথুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল। আর নিখোঁজ তাসমিন আলাইপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল বারেকের মেয়ে। সে আলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জীম খাতুন বেথুলী গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মোফাজেল হোসেনের মেয়ে। সে বেথুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, পুকুরের পানির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট, যার কারণে তারা তাসমিনকে উদ্ধার করতে পারেননি।
স্থানীয় শত শত উৎসুক জনতা পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়ে এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে