ক্রাইম রিপোর্টার জসিম হোসেন ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২২), পিতা:শাহাজান আলী অভিযোগ করে বলেন, ২২শে ডিসেম্বর শনিবার
সন্ধার পরে, উপজেলার বাকুলিয়া পশ্চিম পাড়ার মাহফিল থেকে ফেরার পথে তাকে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, পরে মুক্তিপণ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মহারাজপুর ইউনিয়নের সরকারী আবাসন কয়ারগাছি রাস্তার সাথে যে মসজিদটা আছে সেখানে ইমাম হিসাবে নিযুক্ত রয়েছি,ঘটনার দিন আমি বাকুলিয়া পশ্চিম পাড়াই অনুষ্ঠিত একটি মাহফিলে যায়। একটা সময় খাবার খেয়ে বাড়ির দিকে আসছিলাম কিন্তু পথিমধ্যে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসের পাশ থেকে কয়েকজন আমাকে ডাক দেয় এবং জিজ্ঞেসা করে আমার নাম কি,তার পরে ধাক্কা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয়,ভেতরে অনেক মারধর করে।
আমাকে যে গাড়িতে তোলা হয়েছিল সেখানে আরো একজনের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি, তবে তাকে কোনো নড়াচড়া করতে দেখিনি,তিনি বেচে ছিলো কিনা জানি না। অনেক্ষণ পরে আমাকে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়,সেখানে আরো কয়েকজন এরকম অবস্থায় ছিলো।পরবর্তীতে আমাকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করায়। তারা আমার পেটে ছুরি ধরে বলে,তুই বাড়িতে ফোন করে বলবি, তুই মোবাইল কিনতে এসে একটা মোবাইল ভেঙে ফেলেছিস, তার জরিমানা হিসাবে এখন টাকা দিতে হবে। তারা আমাকে দিয়ে প্রথমে এক লক্ষ টাকা দাবি করে,কিন্তু আমার বাবা কুড়ি হাজার টাকা দিতে পারেন। তারা আমাকে দুই শতো টাকা দিয়ে বাইরে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেবার পরে আমি বুঝতে পারি আমাকে যশোরে নেওয়া হয়েছে। তার পরে আমি বাড়ি এসে পৌঁছায়। তারা আমাকে অনেক মেরেছে,আমাকে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে রেখেছে। হত্যার হুমকি দিয়েছে, যদি আমি পুলিশকে জানায় বা সাংবাদিকদের জানায়। আমাকে মেরে ফেলবে এবং আমার উলঙ্গ ভিডিও নেটে ছেড়ে দেবার হুমকিও দিয়েছে। আমি এখনো আতঙ্কে রয়েছি। সেই ভয়ে থানায় জিডি করতেও ভয় পাচ্ছি।
এবিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা:শাহাজান আলী জানান,আমার ছেলে আমাকে ফোন করে আর বলে আমাকে কে বা কারা আটকে রেখেছে টাকা না দিলে ছাড়বে না। পরবর্তীতে অনেক দরদাম করে আমি একটা বিকাশ নাম্বারে কুড়ি হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠালে তারা আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়। আমি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার আসা করছি।