জেলা প্রতিনিধি (দ্বীপক চন্দ্র সরকার) নেত্রকোণা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুনী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এ আন্দোলনে শুরু থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সংহতি ছিলো। বিএনপি সব সময়ই গণমানুষের কথা বলে। ১৯৭১ সালেও বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে যু্দ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যাহোক প্রথমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকারি চকুরীতে কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবী থাকলেও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার তাদের প্রতিহত করার জন্যে বিভিন্ন পাঁয়তারা শুরু করে। রাজাকারের নাতি—নাতনী ও রাজাকার বলে চিহ্নিত করে, আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয় এবং পুলিশ প্রশাসনকে বাধ্য করা হয় শক্তি প্রয়োগে। ক্রমে আন্দোলন রূপ নেয় ছাত্র—জনতায়। তবুও ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্যে চাঁদাবাজ সরকার একের পর এক নির্যাতন, গুম, হত্যা ও গণহত্যা চালায়। আন্দোলনে দাবি ওঠে এক দফা—সরকার পতনের। যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে। নিজ নিজ জায়গা থেকে এখন দেশটাকে নতুন করে সাজাতে হবে সবার। অবশ্যই গণতান্ত্রিক চেতনায় সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি জায়গা থেকে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তাই ৮ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর সদস্য ও জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সুনির্দেশনায় ও ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি—পেশার মানুষের সাথে কথা বলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা কেন্দুয়াকে চাঁদা মুক্ত ঘোষণা করেছি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন একান্ত সাক্ষাৎকারে এ সব কথা জানান।