আরিফুল (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিক্ঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী হোগলা শাপলা যুব সংঘ ক্লাবের সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুমারখালী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শাপলা ক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, ১৯৮০ সালে আরএস খতিয়ান ১৩০ এবং আরএস ১০৬৫ নং দাগের ৫ শতাংশ সম্পত্তি
জামাল উদ্দিন সহ তাদের চার ভাইয়ের নিকট থেকে শাপলা ক্লাবের নামে কেনা হয়। হঠাৎ এ বছরের জানুয়ারি মাসে হোগলা গ্রামের রওশন, মঞ্জু ও তালেব ক্লাবের জায়গায় বালু ভরাট করতে গেলে তারা বাধা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কুমারখালী থানায় বসা হলেও সমাধান না হওয়ায় ক্লাবের সম্পত্তি রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়। ক্লাবের এ সম্পত্তি ১৯৭৮ সালে আব্দুল করিম ও আয়েশা ওরফে আয়না নামের দু'ভাইবোনের নিকট জামাল উদ্দিনরা কিনে ১৯৮০ সালে ক্লাবের কাছে বিক্রি করেন। শাপলা ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল মতিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারিক মাস্টারের পক্ষে রেজিস্ট্রি করা হয় এবং এই ক্লাব ১৯৯০ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয় যার রেজিস্ট্রেশন নং ৮০ / ৯০। আয়েশা ওরফে আয়না মারা যাওয়ার পর ২০১৪ সালে তার উত্তরাধিকারদের নিকট থেকে হোগলা গ্রামের এস এম রওশন ক্লাবের ৫ শতাংশ জমি থেকে এক পয়েন্ট ৬৬ শতাংশ অংশ জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে নেয় । অথচ আয়না ওরফে আয়েশা ১৯৭৮ সালে তাঁর প্রাপ্ত অংশ বিক্রি করে দিয়ে নিঃসত্ত্ববান হয়েছেন। আয়না ওরফে আয়েশার জমি আরএস রেকর্ড আয়েশা নাম হয় এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ড আয়েশা নাম ছিলো। এবং ক্লাবের সম্পত্তি জামাল উদ্দিনরা ১৯৭৮ সালে
কেনার আয়না নামে রেজিষ্ট্রি করা হয়। ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও জমির রেকর্ড আয়েশা নামে হবার কারণে আয়েশা মারা যাওয়ার পরে তার উত্তরাধিকাররা ক্লাবের এই জমি তার মায়ের বিক্রিত অংশ পূণরায় বিক্রি করে । জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আয়না ওরফে আয়েশা একই ব্যক্তি প্রত্যয়ন দিলেও তারা অবৈধভাবে বালুভরাটের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্লাবের পক্ষ থেকে এই সম্পত্তির উপর আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে ভোগদখলের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ