স্টাফ রিপোর্টার: খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের ছমিরপুর গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে হতদারিদ্র্য ৫০টি পরিবার অভিযোগ করেছে।
রবিবার (৩ মার্চ) জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি গন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানা যায়, খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নে অন্তরগত শালদীঘা মৌজার সাবেক দাগ ৮১৯/৩ নং দাগের বর্তমান দাগ ২০৬৫ এর অসহায় হতদারিদ্র্য ভুমিহীন ছমিরপুর গ্রামে ৫০টি পরিবার প্রায় ২০ বছর যাবত স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে বসতভিটা নিমার্ণ করে বসবাস করে আসছি। উল্লেখিত দাগে মোট ভুমির পরিমাণ ৬.৮৫ শতাংশ এর মধ্যে ছমিরপুর গ্রামবাসী ৫০টি পরিবার ২ একর ভুমির উপর বসতি স্থাপন করে অবস্থান করছি। কিন্তু বর্তমানে ৮১৯,৮২০,৮২১,৯১০ দাগসমুহে মাননীয় সরকার বাহাদুর ভুুমিহীনদের জন্য একটি আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে। এর ফলে ছমিরপুর গ্রামের ৫০টি পরিবারের খাস দখলকৃত ভুমি যাহা আমরা নিজেরা স্ত্রী, পুত্র পরিবার পরিজন নিয়ে মাটি ভরাট করে দীর্ঘদীন যাবত প্রাকৃতিক দুযোর্গসমুহ মোকাবিলা করে বসবাস করে আসছি। আমাদের পরিশ্রমের গড়া ভরাট করা মাটির উপর প্রায় ১ একর ভুমির উপর দিয়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। মাননীয় সরকার বাহাদুরের নিকট আমাদের ছমিরপুর গ্রামবাসীর দাবী ২ একর ভুমির উপর আমরা দীর্ঘদিন যাবত বসতি স্থপন করে অবস্থান করছি। সেই অংশটি বাদ দিয়ে ৮১৯,৮২০,৮২১,৯১০ দাগের ৬.৮৫ শতাংশ ভুমির মাঝে বাকী অংশে আশ্রয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুদীর্ঘকালের শ্রম, ঘাম ও অপরিসীম ক্ষতির হাত হতে ছমিরপুর গ্রামের ৫০টি পরিবার রক্ষা পাবে। জনস্বার্থে আরো দাবী জানাচ্ছি যে, শালধীঘা মৌজার সাবেক দাগ নং ৮১৯/৩ বর্তমান দাগ নং ২০৬৫ এর ২ একর ভুমি ছমিরপুর গ্রামের ৫০টি পরিবারের নামে লীজ অথবা স্থায়ীভাবে ভুমিহীন বোন্দোবস্ত প্রদানের প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য মহোদয় সমীপে সবিনয় অনুরোধ করছি। অতএব হুজুরের নিকট একান্ত প্রার্থনা যে, শালধীঘার মৌজার সাবেক দাগ নং ৮১৯/৩ বর্তমান দাগ নং ২০৬৫ এর ২ একর ভুমি ছমিরপুর গ্রামের ৫০টি পরিবারের নামে লীজ অথবা স্থায়ীভাবে ভুমিহীন বন্দোবস্ত প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করিলে ছমিরপুর গ্রামবাসী মাননীয় সরকার বাহাদুরের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকিবে বলে উল্লেখ করে গন স্বাক্ষরিত আবেদনটি জমা দেওয়া হয়। কাগজ পত্রে অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ২৭/৯/১৯৯১ ইং তারিখে শালদীঘা মৌজায় দাগ নং ৮১৯/৩ এ ২ একর ভুমি প্রভাত দাস গংদের রশিদ মুলে বুজিয়ে দেওয়া হয়। পরর্বতীতে ১/১/২০০১ ইং তারিখে প্রভাত দাস পিতা— মৃত শক্রঘ্ন দাস, সাং— লেপসিয়া, মৌজা— শালদীঘা, থানা— খালিয়াজুরী, উপজেলা— খালিয়াজুরী, বাসন্ডি রানী দাস স্বামী প্রভাত দাসকে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। স্থানটি হাওরের তীরে হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভাসমান মানুষগণ উক্ত স্থানে মাটিকেটে ভিটা করে বসতি শুরু করিলে এক পর্য্যায় বন্দোবস্ত প্রাপ্ত প্রভাত দাস মোঃ রুকনোজ্জামান (রুকু মিয়া), পিত— মৃত গোলাম আলী, সাং— লেপসিয়া, থানা— খালিয়াজুরী, এর নিকট দখল বিক্রয় করে দেয়। তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যাক্তি মোঃ রুকনোজ্জামান (রুকু মিয়া) সাধারন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত স্থানে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন লোকজনকে বুজিয়ে দিলে লোকজন নিচু জায়গা থেকে মাটি কেটে বসতি বৃদ্ধি হইতে থাকে। বর্তমান সরকারের মহতি উদোগ্যে গৃহহারা থাকবে না কোন মানুষ এই আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে খালিয়াজুরী উপজেলার ছমিরপুর গ্রামে ৩.৭৫ একর সরকারী খাস ভুমিতে অভিযুক্ত ভুমির সাথে আশ্রয়ন প্রকল্প কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিয়াজুরী এর সাথে মঠো ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি জানান, সরকারি ৩.৭৫ একর খাস ভুমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। চাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম জানান, সরকারি ভুমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ