মো: জসিম হোসেন ক্রাইম রিপোর্টার ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করেছে ভারতীয় সিআইডি।
রোববার (৯ জুন) সকালে ভাঙড় এলাকা থেকে এসব হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, রোববার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানা এলাকার কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে নামে সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। হাড়গুলো প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে সেগুলো মানুষেরই। যদিও তা আনোয়ারুল আজিমেরই কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ জন্য করতে হবে ফরেনসিক পরীক্ষা।
নিউটাউনের অভিজাত ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪-৫ কেজি ছোট ছোট মাংসের টুকরা উদ্ধার করেছিল সিআইডি। সেই মাংস কি আনোয়ারুলেরই, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এবার হাড়গুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। হাড়গুলো যদি সত্যিই এমপি আনোয়ারুলের হয় তাহলে সেটা হবে এই মামলায় সিআইডি তদন্তে বড় অগ্রগতি।
এর আগে নেপাল থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা সিআইডি। শনিবার তাকে বারাসত আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
এমপি আনোয়ারুলের হত্যার ঘটনায় আমানুল্লাহ, তানভীর ভূঁইয়া এবং শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তারের পর মূল পরিকল্পনাকারী শাহীনের বাসায় অস্ত্র আছে সন্দেহে অভিযানে যায় ডিবির টিম। কিন্তু ওই বাসায় অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তবে পাওয়া গেছে মোবাইল ফোন। এর মধ্যে ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই চলছে অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলানোর চেষ্টা।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে তিনটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন বাবু। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো এবং একটি রেডমি মোবাইল ফোন। জিডি করার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক করা হয় বাবুকে। হত্যাকাণ্ডের পর শাহীনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়েছে বাবুর। হয়েছে এসএমএস লেনদেন। একসঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন। উঠে এসেছে শাহীনের সঙ্গে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। আমানুল্লাহ, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
ডিএমপি ডিবিপ্রধান ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা তিনজনকে ধরেছি। ভারতে দুজন (সিয়াম ও জিহাদ) গ্রেফতার আছে। এছাড়া আরও দু-একজনকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তাই শাহীনকে না পেলেও মামলায় খুব একটা সমস্যা হবে না।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। ২২ মে কলকাতা পুলিশ জানায়, আনোয়ারুল খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, আনোয়ারুল আজিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় একই দিন আনোয়ারুলের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য