1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কীভাবে মুছে গেল জীবনানন্দ–জগদীশ বসুদের নাম - Bikal barta
২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| সকাল ১০:৪০|
সংবাদ শিরোনামঃ
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক কনস্টেবল প্রত্যাহার বগুড়ার মহাস্থানে অবৈধ স্থাপনা যৌথ বাহিনী কর্তৃক উচ্ছেদ চিরিরবন্দরে বিএনপির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত জেলা এনএসআই,পাবনার তথ্যের ভিত্তিতে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোরশেদুল আলম কর্তৃক অবৈধ বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ভাঙ্গায় ১৪৪ ধারা ভেঙে জমি দখল করে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ  ৪৩ মাসের বেতন বকেয়া থাকায় পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা কর্মচারী ডিগ্রি পাসকোর্স করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। জকিগঞ্জে ঈদগাহ বাজারের একই গ্রামের ৬ তরুণ ৫দিন থেকে নিখোঁজ!সন্ধান পেতে পরিবারের আকুতি!  চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় বাবার ধর্ষণে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা! ঝিনাইদহে গরু চুরি, নিঃস্ব দুই দিনমজুর পরিবার।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কীভাবে মুছে গেল জীবনানন্দ–জগদীশ বসুদের নাম

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, মার্চ ১, ২০২৫,
  • 24 জন দেখেছেন

 

দয়াল, বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে বাদ পড়েছে প্রখ্যাত রসায়নবিদ,শিক্ষাবিদ এবং ১৭২০ সালে কলেরার ঔষধ আবিষ্কারক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বসু, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর মতো মনীষীদের নাম। সিন্ডিকেটের সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন ইতিহাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় এবং বারবার ফিরে আসতে বলে ।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পদক্ষেপে মর্মাহত বলে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে জগদীশ চন্দ্র বসুর গল্প শুনেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জগদীশ চন্দ্র বসু, তাঁর মতো বিজ্ঞানীর নামে করা ভবন-স্থাপনা ছিল, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের নামে স্থাপনা ছিল। আরও কয়েকজনের নামে করা স্থাপনার নাম বদলানো হয়েছে। এটি আমাকে মর্মাহত করেছে। জগদীশচন্দ্র বসুর নামে করা ভবনের নাম পাল্টানো হবে, এটা কল্পনার বাইরে। আমি আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে এর প্রতিকার করবে।’

 

গত সোমবার খুলনা নগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনেও নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি আসে। সেখানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীদের ছবি নামানো হবে, নাম পরিবর্তন হবে, এটা ঠিক। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, আপনি কোন শক্তিবলে বিভিন্ন ভবন থেকে লালন সাঁইয়ের নাম, জীবনানন্দ দাশের নাম, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশচন্দ্র বসুর নাম সরিয়ে ফেলেছেন? … আজ হোক, কাল হোক, পরশু হোক; যত বড় শক্তি আপনার পেছনে কাজ করুক, এর জবাব আপনাকে দিতে হবে।’

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ডিসেম্বর ‘হল ও বিভিন্ন ভবনের নতুন নামকরণ প্রস্তাবনা কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটির পক্ষ থেকে গত ৮ ডিসেম্বর ‘পলিটিক্যালি বায়াসড’ (রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট) নাম সংবলিত হল ও ভবনের নতুন নাম প্রস্তাবের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হল, জয় বাংলা ভবন, সুলতানা কামাল জিমনেশিয়াম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনের জন্য নামের প্রস্তাব করতে বলা হয়।

 

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের নাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম পাল্টে নতুন নাম রাখা হয় প্রফেসর ড. গোলাম রহমান প্রশাসনিক ভবন। ছবিটি ১২ ফেব্রুয়ারির।

 

ওই কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ টি এম জহিরউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি করা হয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, পলিটিক্যালি বায়াসড নামগুলো পরিবর্তনের। শুধু ওই নামগুলো পরিবর্তনের বিষয়ে আমরা নতুন নামের প্রস্তাব চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। আমরা যে নামগুলো পেয়েছিলাম, সেগুলো শুধু কম্পাইল করে কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। ওইটাই আমাদের কমিটির কাজ ছিল।’ সিন্ডিকেট তার অধিকার বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমনটাই দাবি তাঁর। তবে তিনি অন্য নামগুলো পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

 

৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় নামকরণের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি নাম পরিবর্তন-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।

 

সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. মুজিবর রহমানের ভাষ্য আলাদা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটির রিপোর্টটাই সিন্ডিকেটে পাস হয়েছে। কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, সিন্ডিকেটের সদস্যরা কোনো অভিমত-অভিপ্রায় ব্যক্ত করেননি, সদস্যরা শুধু ওটাকে পাস করেছেন। সিন্ডিকেট থেকে নতুন করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া না। কমিটির কোনো সদস্য অন্যকিছু বলে থাকলে সেটা ভুল। সিন্ডিকেটে অনেক এজেন্ডা ছিল, ওই বিষয়টা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ ছিল না। ওই সময় নতুন করে নাম পছন্দ করা বা নাম দেওয়া, এগুলোর সময়ও হয় না।’

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য গোলাম রহমানের নামে করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বিজয় ২৪ হল, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ১, জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ২, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ৩, জয় বাংলা ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ৪ করা হয়েছে।

 

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের নাম পাল্টে নতুন নাম রাখা হয় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হল। বঙ্গবন্ধু হল লেখা সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হল লেখা সাইনবোর্ডটি লাগানো হবে। ছবিটি ২৫ ফেব্রুয়ারিরছবি: প্রথম আলো

 

এ ছাড়া শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের নাম প্রশাসনিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসাকেন্দ্রের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, সুলতানা কামাল জিমনেসিয়ামের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়াম, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামে শিক্ষকদের চারটি কোয়ার্টারের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।

 

এভাবে নাম পরিবর্তনের বিষয়টিকে নিম্ন রুচির বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এককথায় এটা খুবই নিম্ন মানসিকতা ও নিম্ন রুচির পরিচয়। একটা শিক্ষাপ

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!