1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় উদ্বেগ। - Bikal barta
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শনিবার| বিকাল ৩:৫৪|

গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় উদ্বেগ।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫,
  • 4 জন দেখেছেন

 

ইমরান সরকার:- অন্তর্বর্তী সরকার বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা বললেও সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলায় জড়ানো এবং মামলা দেওয়ার হুমকিতে উদ্বেগ বাড়ছে সাংবাদিক মহলে। এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারকে উৎসাহিত করেও বলে মনে করছে তারা।

 

বিগত ২০১৪ সালের ঘটনার ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দৈনিক সকালের বাণীর উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল সুমন ও দৈনিক আলো প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি রায়হান ফরহাদ লিখনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত রেখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির নুরুন্নবী প্রধানের ছেলে তাহারাত তানভীর প্রধান। হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে থাকা দুই সাংবাদিক গত ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) গাইবান্ধা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

 

এদিকে গোবিন্দগঞ্জে গত মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করার জেরে দৈনিক খোলা কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি শাহিন আলম, দৈনিক সকালের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি আবু তারেক ও দৈনিক বঙ্গসংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন শাহ আলম সরকার সাজু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিসহ বিকৃত রেকর্ড পোষ্টসহ বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে আত্মকেন্দ্রিক, শিষ্টাচার বর্হিভূত ও আক্রমনাত্বক একাধিক পোষ্ট ও কমেন্টের মাধ্যমে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বাদীর জবানবন্দি নিয়ে এ মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম।

 

অপরদিকে মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সরকার সাজুর বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মিনহাজুল ইসলাম রোমান। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান। ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজে মামলার বাদীর মালিকানাধীন ড্রাম ট্রাকে ভাড়ায় বালু ও মাটি পরিবহন করা হয়। সাংবাদিক সাজু বিগত ৫ আগষ্টের আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভয়ভীতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগী রোমানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের নিকট হতে বিভিন্ন সময় পনের লক্ষ টাকা আদায় করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) অভিযুক্ত সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে একাধিকবার ফোন করে বাদীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

 

পলাশবাড়ীতে দৈনিক করতোয়ার উপজেলা প্রতিনিধি মনজুর কাদির মুকুল, দৈনিক মানবজমিনের উপজেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রতন ও দৈনিক আলোকিত সকালের স্টাফ রিপোর্টার আল কাদরি কিবরিয়া সবুজসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো পিবিআই। গত ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো পিবিআই গাইবান্ধার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও পলাশবাড়ী থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান। বিগত ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির হয়ে ৩ সাংবাদিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দায়ের করেন নিউ লাইফ ফাউন্ডেশনের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ফাতেমা আকতার। এর আগে ২০২৩ সালে ১২ সেপ্টেম্বর নিউ লাইফ ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ নিউ ও ফাতেমা আকতার অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে জনতার হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ফাতেমা আকতারকে উদ্ধার করে জিডি মূলে ছেড়ে দেয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারের পর তিন সাংবাদিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

 

গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ও প্রবীণ সাংবাদিক খোকন আহমেদ বলেন, পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয়। কোনো সাংবাদিক যদি সাংবাদিকতার নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন তার বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত ও অনুসন্ধান করা যেতে পারে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তার সাজা হতে পারে।

 

বিগত সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের প্রয়াস চালানো হয়েছিল, যা সারাবিশ্বে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত মামলা দেওয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। এ অবস্থায় যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে মামলা থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!