নুরুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলছেই। দিন যত যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত বিস্তৃত হচ্ছে। এতদিন মিয়ানমারের উত্তর দিকে সংঘাত চললেও দক্ষিণের পরিবেশ মোটামুটি শান্ত ছিল। এখন সেই সংঘাত নতুন করে অগ্রসর হচ্ছে দক্ষিণ দিকে। ফলে বিদ্রোহীদের একের পর এক মিয়ানমার বিজিপি ঘাটি দখল করাটা যেন তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বা বিল, উনচি প্রাং সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এলাকাগুলোতে অবস্থিত বিজিপির ঘাটিগুলো দখলে নিতে যে ফায়ারিং তাণ্ডব চালিয়েছে তার শব্দে কেঁপে উঠছিল টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা। এছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফায়ার করা দুটি গুলির অংশও পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। মর্টারশেলের শব্দ শুনে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মন্তব্য জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন মর্টারশেলের শব্দগুলো এত প্রকট ছিল যে মনে হয় ভূমিকম্পকে হার মানিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, উত্তরের অনেক ঘাটি দখলে নেওয়ার পরে নতুন করে লম্বাবিল এলাকার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কুমিরখালীতে যে বিজিপির ঘাটি রয়েছে সেটি দখলের জন্য বিদ্রোহীরা এমন গোলাগুলি চালিয়েছে। খোরশেদ আলম নামে এক যুবক বলেন, ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। পরে দেখি তাদের ফায়ার করা দুটি গুলির অংশ বাড়ির পাশে পড়েছিল। আমরা অনেক ভয়ে আছি। কারণ আমাদের অজান্তে কখন মানুষের গায়ে গুলি লাগে। বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তজুড়ে আমরা সর্বদা প্রস্তুত ও টহল জোরদার করেছে। এদিকে রাতে নাফ নদী হয়ে নৌকাযোগে ১০০ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের মিয়ানমারে ফিয়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিত। বিজিবির সূত্র জানিয়েছে, ২০-২৫ জনের একটি দল বৃহস্পতিবার মিয়ানমার থেকে আসা অবিস্ফোরিত মর্টার শেল ও বোমা শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিষ্ক্রিয় করেন। এ সময় বিকট শব্দ হয়। এর কয়েক মিনিট পর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এতে এপারেও একের পর এক গুলি আসতে থাকে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এপারে গুলি এসে পড়েছে বলে দাবি বিজিবির।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ