কে এম বেল্লাল
বিশেষ প্রতিনিধি পাথরঘাটা উপজেলা।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে বরগুনা পাথরঘাটা উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে পড়ে চুরমার হয়ে গেছে বসত ঘর। ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা তান্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল, একটানা দুদিন প্রভল বৃষ্টির কারনে মাটি নরম হতে শুরু করে পরবর্তীতে বাতাসের তীব্র গতিতে উপরে পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। বসত বাড়ির আশে পাশে থাকা গাছগুলো উপরে পড়ে চুরমার হয়ে যায় বসত ঘর। এ ছাড়াও গাছ পড়ে ভেঙে যায় বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ।
বসত বাড়িতে গাছ পড়ে চুরমার হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রশ্তদের মধ্যে রয়েছে( ইউসুফ পিতা : আইউব আলি হাওলাদার স্থান : পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড, নূর আলম পিতা: কারী নূর মোহাম্মদ পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড, মমতাজ স্বামী : লতিফ
কালমেঘা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড ও মোশারফ পিতা : ইউসুফ শরিফ স্থান : পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড) স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, আরো অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ইউসুফ আলী জানান, আমি ( ইউসুফ ) গতবছর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ করে এই বসত ঘরটি তৈরি করি। এখানো প্রতি মাসে টানতে হয় সেই ঋণের বোজা, এখন ঋণ পরিষদ করবো না পূনরায় ঘর তৈরি করবো? দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে দিশেহারা এখন ইউসুফ আলী।
অন্য দিকে নূর আলম জানান, আমি (নূর আমল) আমার ৪ বছরের সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘমাচ্ছিলাম হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ঘরের পাশে থাকা ৩৫ থেকে ৪০ ফুট লম্বা গাছটি মাথার উপর উপড়ে পড়ে, একহাত ব্যতিক্রমের জন্য রেহাই পাই আমি ও আমার পরিবার ।
তবে গাছ পড়ে চুরমার হয়ে গেছে আমার কষ্টের সম্বল বসত ঘরটি। রাজমিস্ত্রী কাজ করে অল্প আয়ে সঞ্চয় করে তৈরি করি আমার এই বসত ঘরটি। এখন কেউ সাহায্য না করলে পূনরায় ঘরটি সংস্কর করা আমার পক্ষে সম্ভব না।