মোঃশাহেদুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে বনবিভাগের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলনের মহাউৎসব চলছে প্রতিনিয়ত। এলাকাবাসী অসংখ্য বার অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধের চেষ্টা করলে ও থামানু যাচ্ছেনা এদের,কারন তারা প্রভাবশালী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই ডুলহাজারার ৯নং ওয়ার্ডের বনবিভাগের সংরক্ষিত রিজার্ভ জমিতে পার্শ্ববর্তী বগাছড়ি খাল থেকে নিয়মিত বালু উত্তলন করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র, এসবের বিরোদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না বলে জানান অনেকেই, প্রতিবাদ করেলেই হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান বিভিন্ন লোকজন, ডুলহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পারভেজ জানান চলতি বছরের ৫ই আগস্টের পর থেকে মাস খানেক বালু উত্তলন বন্ধ হলেও এর পরথেকে পুনরায় বালু উত্তলন করছে স্থানীয় সাবেক এমইউপি সদস্য লিয়াকত এর ছেলে মানিক,জামাল(ওরফে চশমা জামাল) ও নজরুল।
বগাছড়ি খালের ঐ পাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি বিস্তৃত সংরক্ষিত রিজার্ভ এলাকা ডুলহাজারা সাফারি পার্ক,বালু উত্তলনের ফলে সাফারি পার্কের সিমান্তের গাইড-ওয়াল ইতিমধ্যে ধসে পড়ার পরিক্রমায় ও বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে নদীর পাড় ভেঙে একাকার হয়ে গেছে বালু উত্তলনের ফলে। এ বিষয়ে ডুলহাজারা সাফারি পার্কে দায়িত্ব রত ফরেস্ট রেঞ্জার জনাব মাজাহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে ওনি জানান ওনি এই পর্যন্ত ৭০-৮০ টা বালু উত্তলনের শ্যালু মেশিন জব্দ করেছেন ঐ স্থান থেকে তারপর ও বালু উত্তলন বন্ধ হয়না।
অবৈধ ভাবে বালু উত্তলনের ব্যবহার হওয়া সংরক্ষিত রিজার্ভ জমি সামাজিক বনায়ন নামক স্থান টি চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ফরেস্ট রেঞ্জের আওতায় অবস্থিত।
ফাঁসিয়াখালীর ফরেস্ট রেঞ্জোর, রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহারাজ উদ্দিনের কথা বললে ওনি জানান ডুলহাজারা ইউনিয়ন এ অবস্থিত সংরক্ষিত রিজার্ভ সামাজিক বনায়নের ভিতরে বালু মাহালের যাতায়াত রাস্তাটি ওনি কিছুদিন আগে স্থানীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে গর্ত খুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল যাতে করে বালু টানার ডেম্পার ট্রাক গুলো বালু মহালে ঢুকতে না পারে,তারপরে ও আইনের তোয়াক্কা না করে তারা বালু উত্তলন করে যাচ্ছে।
পুনরায় অভিযান পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওনি জানান, বালুমেশিন চলাকালীন সময়ে ওনাকে জানালে ওনি যতাযত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন লোক নাম জানাতে অনিচ্ছুক তারা জানিয়েছেন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ক্যাশিয়ার সূর্য বাবু অবৈধ বালু উত্তলনকারী দের কাছ থেকে নিয়মিত মাশুয়ারা নেন যার জন্য নিয়মিত টহলে আসলে ও আইনগত কোন পদক্ষেপ নেন না সূর্য বাবু।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন আগে দিনেদুপুরে বালু মেশিন চালালে ও এখন চলে রাতের আধারে, আর বালু বিক্রি করে দিনের বেলায়, বালু বোঝাই ভারী ট্রাকের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে ডুলহাজারা থেকে বগাছড়ির চলাচল সড়কটি, যার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের,সাধারণ মানুষের দাবী অপরাধী দের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিলে অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধ হত। বালুখেকো জামাল (ওরফে চশমা জামাল) এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে
এসব অপরাধের কথা, কৌশলে নিজে বালু উত্তলনের সাথে জড়িত নেই বলে অস্বীকার করে, সাবেক এমইউপি লিয়াকত এর ছেলে মানিক ও নজরুল জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এর সাথে এসব বিষয়ে কথা বললে, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন ওনি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ