স্টাফ রিপোর্টার বাবুল চৌধুরী জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছেন। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন র্যাব-৭, চট্টগ্রামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন হয়েছে বলার মতো না।
সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের নিকট উপর্যপুরী এবং প্রত্যক্ষ কিছু অভিযোগ গৃহীত হয় যে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আওতাধীন ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরণের অবৈধ উপায়ে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। এবং বিশেষ করে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরও কিছু চাঁদাবাজির অভিযোগ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম চাঁদাবাজদের হাতেনাতে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গত ০৬( ফেব্রুয়ারি )২০২৪ইং তারিখ চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজির প্রাক্কালে ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়, এই চাঁদাবাজির টাকা ও বিভিন্ন আলামত জব্দ। উল্লেখ্য, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে চাঁদা আদায়কারী ১৩, পাহাড়তলী থানাধীন হোটেল মেরিন সিটি এর সামনে থেকে যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৪ জন, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় হতে ০৩ জন এবং বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় হতে যাত্রীবাহী মিনিবাস ও ট্যাম্পু থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৬ জনসহ সর্বমোট ৩০ জন চাঁদাবাজকে নগদ ৪১,৫৬৩/- টাকাসহ গ্রেফতার করা হয় । চাঁদাবাজদের দেয়া তথ্য মতে
ক। চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ এবং বখতিয়ার উদ্দিন সিকদার এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রতিদিন সিএনজি অটোরিক্সা হতে মাসিক ১,০০০/- টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করে। উক্ত চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা এবং মোঃ আবুল হোসেন নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
খ। পাহাড়তলী থানা এলাকায় মোঃ পেয়ার আহম্মেদ এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা টমটম/সিএনজি থেকে মাসে ৮০০/- করে ৮০, ০০০/- টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ খলিলুর রহমান নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
গ। আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় এলাকায় নারায়ন দে এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিনিবাস থেকে প্রতিদিন ১০০/-টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ সমু এবং নিপু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
ঘ। বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকায় মোঃ সোহেল এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিনিবাস এবং ট্যাম্পু থেকে মাসিক ৮০০/- টাকা করে ৮০, ০০০/- চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ নূরুল হক পুতু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে দেশের সকল শ্রেণীর নাগরিকগণ বাজার করতে গিয়ে দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। কিছু কিছু স্থানে র্যাব ও ভোক্তা অধিকারের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকলেও পরবর্তীতে আবার পূর্বের মত উচ্চ মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন ভিত্তিক নিউজের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। উক্ত জনদূর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পাইকারী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদনকারীদের নিকট হতে পন্য সামগ্রী সংগ্রহ পূর্বক ট্রাক/পণ্যবাহী যানবাহনে পাইকারী ও খুচরা বাজারে পৌছানোর সময় পথিমধ্যে নামে বে-নামে ভূয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থ চাঁদাবাজি করা হয়।
মাত্র দুই ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ৪১৫৬৩ টাকা উদ্ধার সহ ৩০ জন শীর্ষ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত ৩০ জন চাঁদাবাজের মধ্যে ১০ জনের নামে হত্যা/দস্যুতা/লুন্ঠন/চাঁদাবাজি/চুরি/ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ