আব্দুস শহীদ শাকির
জকিগঞ্জ সংবাদ দাতা।
গত রবিবার দিবাগত রাতে বাড়ি ফেরার পথে -বিয়ানীবাজার এর জিরো পয়েন্ট থেকে এক কিলোমিটার সামনে পাঞ্জীপুর মসজিদের পাশে দুজন পাঞ্জাবি পরা অর্ধ বয়স্ক লোক এবং বোরকাপরা একজন বয়স্ক মহিলা ও একজন ২৫ বছর বয়সের যুবক শামীম উসমানের প্রাইভেট কারে সিগন্যাল দেয়,শামিম উসমান গাড়ি থামালে জকিগঞ্জের ঈদগাহ বাজারের কাপনা গ্রামে যাবে বলে তারা সাহায্য চায়।শামীম উসমান গাড়িতে একা, ড্রাইভে ছিলেন, তাই সরলমনে চারজনকে বরইতল পর্যন্ত এগিয়ে দিবেন বলে গাড়িতে তুলে নেন।গাড়িতে উঠা মাত্র তারা ইলেক্ট্রনিক লেজার যন্ত্র দিয়ে ঘাড়ে মাথায় টাচ করার সাথে সাথে শামীম উসমান বেহুশ হয়ে যান, আর কিছু বুঝে উঠতে পারেননি!
পরবর্তীতে যখন জ্ঞান ফিরে, তিনি অনুভব করতে পারেন তার হাত- পা বাঁধা এবং একটা চোখ ও বাঁধা।তখন তিনি পানি পানি করে চিৎকার করলেও কেউ তাকে পানি দেয়নি!অবশেষে রাত পেরিয়ে, পরের দিন সিলেটের মোগলাবাজার থানার টহল পুলিশ বাইপাস মোগলাবাজার রোডে তাকে উদ্ধার করে।
তথ্যসুত্রে জানাযায়, তিনি বিরশ্রী ইউনিয়নের বড়পাথর মাঝেরহারা গ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আফতাব আহমাদের ছেলে। তার এমন ঘটনায় একার মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মানুষের উপকার করতে গিয়ে তিনি এমন বিপদে পড়েছেন,যা উপকার করা মানুষগুলোর মধ্যে সন্দেহের বীজ বোপন করছে। এমন চলতে থাকলে সমাজে উপকার করা মানুষগুলো হারিয়ে যাবে বলে অনেকের ধারণা।