আব্দুস শহীদ শাকির,জকিগঞ্জ সিলেট থেকে।সিলেটের জকিগঞ্জে পাইকারী এবং খুচরা চালের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে। এতে মোটা এবং চিকন চালের আকার ভেদে প্রতি কেজি চালে দাম ৬ থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাসের ব্যবধানে চালের দামের এই তারতম্যের কারনে বিপাকে পরেছে নিন্ম আয়ের মানুষ। তবে চাল ব্যাবসায়ীরা চালের বাজার বৃদ্ধির জন্য ধানের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ি করছে।
জকিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ,বাবু বাজার, সোনাসার, রতনগঞ্জ,মাসুম বাজার, এবং জকিগঞ্জ বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতাদের সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, হিরা, মালা, আঠাশ, গুটিস্বর্ণা, স্বর্ণা ৫, সহ সকল প্রকার মোটা চালে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা আর মিনিকেট, কাটারিসহ সকল চিকন চাউলে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ১০ টাকা।
খুচরা বাজারেই চালের এমন উর্দ্ধমূখী দাম কিনা জানতে চাইলে জকিগঞ্জ বাজারের ইমদাদ এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মো:কামরান আহমদ জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা কে বলেন, জকিগঞ্জ উপজেলার পাইকারী চালের আড়তের ব্যবসায়ীরা গত ১ মাস ধরে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় মূল্য বৃদ্ধি করেছে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা। আমরা যারা খুচরা দোকানদার তাদের থেকে চাউল ক্রয়করে খুচরা বাজারে বিক্রি করি আমরা কিভাবে কমে বিক্রি করব বলেন?
জকিগঞ্জ বাজারের কামাল, রামপাল সাজু বলেন, পাইকারদের থেকে চাল কিনতেই হচ্ছে বেশী দামে কমদামে কিভাবে বিক্রয় করব?
কামরান বলেন, গত ১ মাস আগেও আঠাশ চাল বিক্রি করেছি ৫৪ টাকা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ টাকা। এর নিচে বিক্রি করতে পারছি না । কারন এখন আমাদের কেনা পরছে বেশী তাই বিক্রিও করছি একটু বেশী দামেই।
তিনি বলেন, মিনিকেট কাটারি আগে বিক্রি করতাম ৬০ টাকা এখন ৬৮ টাকার কমে বিক্রি করতে পারছি না। হঠাৎ দাম বাড়ায় কাস্টমারদের সাথেও বেশী কথা বলতে হচ্ছে আবার বেচা বিক্রিও কম হচ্ছে। কিন্তু চালের দাম বাড়লে আমরা কি করব? আমরা তো কিনে বিক্রি করি। যেমন কিনি, তেমন বিক্রি করি।
চালের বাজার হঠাৎ বাড়ার পেছনে কোন ছিন্ডিকেট জড়িত কিনা জানতে চাইলে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেড টিভি নিউজ কে বলেন, সিলেটে কয়েকজন বড় চাউলের ব্যবসায়ী আছেন। যাদের গোডাউনে অনেক চাল মজুদ আছে। শুধু তাইনয় তারা সিলেটের বিভিন্ন মিল থেকে চাল ক্রয়করে সগুলোকে গুদাম মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে।