আব্দুস শহীদ শাকির
জকিগঞ্জ সিলেট থেকে।
জকিগঞ্জের দু পাশ ঘেঁসে প্রবাহমান কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ডাইক ভেঙ্গে নতুন এলাকা দ্রুত প্লাবিত হচ্ছে। জকিগঞ্জের আমলশীদ, রারাই,ছবড়িয়া,খলাছড়া,ভুইয়ারমোরা,দক্ষিন মাদারখাল,লোহারমহল, সুপ্রাকান্দি,পীরনগর, বড়চালিয়া,বারহাল, কোনাগ্রাম সহ অনেক স্থানে ডাইকের উপর দিয়ে এবং ডাইক ভেঙ্গে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি দেখার জন্য সিলেট -৫ আসনের সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী এমপি বিভিন্ন প্লাবিত এলাকা সফর করেছেন। লোকদেরকে নির্দিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য আহবান করেছেন।
ভারতের বোরাক নদীর পানি আমলশীদের ত্রীমহোনায় এসে জকিগঞ্জের দু পাশ ঘেঁসে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর সাথে মিশে যায়।এবার বোরাক নদীর পানি ২০০৭ সালের রেকর্ড ভঙ্গ করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যে জানা যায় জকিগঞ্জের ৯টি ইউনিয়নের প্রায় শ খানিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আরো নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তমধ্যে সোনাপুর,সুপ্রাকান্দি,বড়পাথর,টুকের বাজার, বাটলিমারা,আকাকল্যান
লোহারমহল,বেউর,কাপনা,গাগলাজুর মাদারখাল,খলাছড়া,
নরসিংহপুর,হাদ্রাবন্দ,
মাইজকান্দি,সবড়িয়া,
রারাই,মানিকপুর,
পিল্লাকান্দি,সড়কের বাজার,চৌধুরী বাজার, বারহাল,বনগ্রাম, মুলিকান্দি,তেলিকান্দি,সদরপুর ও খিলসদরপুরসহ আরো অনেক গ্রাম।
২০২২সালের বন্যার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে সিলেট তথা জকিগঞ্জের মানুষ। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সিলেট তথা জকিগঞ্জের মানুষ যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার তুলনায় সরকারি ত্রাণ ও সহযোগিতা একেবারেই অল্প! শুধু জকিগঞ্জই নয় পুরো সিলেট জুড়ে বন্যার পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে। সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়ানঘাট, জৈন্তাপুর,কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা।তার সাথে আবার বৃষ্টি। জানিনা কোন দিকে যাচ্ছে সিলেটের পরিস্থিতি। আবার ৫মে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।তবে অনেকের ধারণা নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।