রাশেদ ইসলাম, বিশেষ সংবাদদাতাঃ
কেউ জানেনা রাস্তার পার্শে বেকারি, লোক চক্ষুর আড়ালে হরহামেশাই অতি সতর্কতার সঙ্গে নিয়মিত তৈরি করা হচ্ছে হরেক রকমের বেকারি পণ্য।
প্রধান রাস্তার পার্শে গড়ে তোলা হয়েছে বেকারি যার সামনের সাটার কবে তালা মেরে রেখেছে সেটি কেউ বলতে পারেনা, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে গোপন রাস্তা।
এমন চিত্র উঠে এসেছে জয়পুরহাট কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বৈরাগী ৪ মাথায় বৈরাগী টু কালাই রাস্তায় অবস্থিত অতি গোপন বেকারি ফ্যাক্টরিতে।
খুব বেশি কর্মচারী না থাকলেও কর্মচারী হিসেবে রয়েছে বেকারি মালিক নাজমুল হোসেন, তার সহধর্মিণী, সহ ২ জন মহিলা।।
ছোট একটা রুমের ভেতরে চলে এই কর্মযজ্ঞ, একি রুমে গাদাগাদি করে এক পার্শে রাত্রি যাপন করেন সহ পরিবার, আবার সেখানেই চলছে বেকারি পণ্য তৈরির মহড়া।
জানা গেছে, উক্ত বেকারির মালিক নামুজা বুড়িগঞ্জ এলাকার পিতা, রফিকুল ইসলাম এর পুত্র নাজমুল হোসেন, গত কয়েক বছর ধরে অন্যর বেকারিতে কাজ করেছেন।
এর পরে তিনি সরকারের কোন নিয়ম কানুন না মেনে লোক চক্ষুর অন্তরালে নিজেই বনে গেছেন বেকারির মালিক।
গোপন সংবাদের অনুসন্ধানে উপস্তিত হলে চোখে পরে অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন সকল কার্জ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, মিষ্টির মতো অসংখ্য খাবার। আবার এসব বেকারি পণ্য কোন মোড়কি করন ছাড়াই বাজারজাত হচ্ছে।
বেকারি মালিক নাজমুলকে বেকারির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বেকারির কোন নাম নেই, একটা ডেট কম্পিউটার থেকে বের করে সেটি দিয়েই চালিয়ে দিচ্ছি। কোন সমস্যা হচ্ছে না। অনেকেই এখানে আসে তাদের কে তৈরি পণ্য খেতে দেই আর একটু যত্ন করতে হয়, বেশি কিছু না চা খাওয়ার বিষয় আর কি? আর তারা সকলেই অনেক ভালো উপদেশ প্রদান করেন।
এদিকে নাজমুল তার স্ত্রীর সাথে কাগজ পএ বিষয়ে কথা হলে তারা উভয়ে বলেন, আমরা গত ৬ মাস থেকে কাগজ পএ করব এটাই ভাবতেছি।
তবে বর্তমান বেকারির নেই ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ, স্যানিটারি ও ট্রেডমার্ক ছাড়পত্র। ফলে তদারকির অভাবে উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে বেকারি।
নাজমুলের বেকারিতে ওভেন ছাড়াই খোলা পরিবেশে একেবারে বাহিরে একটা কড়ায়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শেষে সম্পুর্ন অপরিস্কার মেঝেতে হাতের কাজ করেন।
এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি পণ্য নিয়ে কথা হলে নাজমুলের স্ত্রী বলেন, আমাদের বেকারি পণ্য খেয়ে কোন সমস্যা হবেনা কার, কারন এসব আমি, মেয়ের বাবা ও আমার মেয়ে আগে খেয়ে তার পরে বাজারে বিক্রি করি।
এদিকে উপজেলা সাস্থ কর্মকর্তা বলেন, অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি পণ্য বাচ্চা, ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য একটি বড় সাস্থ ঝুঁকির কারন হয়ে দাঁড়াবে। এমন কি অনেক সাধারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উপজেলার বৈরাগী বাজার, কালাই, মাত্রায় সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সাধারণ জনগন ও দোকানির সঙ্গে কথা হলে তারা সকলেই বলেন, আমাদের এলাকায় এমন একটা বেকারি তৈরি হয়েছে আমরা জানিনা। এ ছাড়া দোকানিরা বলেন, আমাদের দোকানে পণ্য সরবরাহ করে কিন্তু অন্যান্য বেকারির যেমন নাম পদবি উল্লেখ করা থাকে কিন্তু এই বেকারির এমন কিছু দেখা যায় নি।।
এলাকার সুধিজনেরা বলেন, নাম ঠিকানা বিহিন অজ্ঞাত বেকারির পণ্য খেয়ে যদি শরীরের কোন সমস্যা হয় তাহলে আমরা কাকে ধরব। এটি একটি বড় প্রতারণা জনগণের সাথে। এদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন, সেই সাথে এমন যত্রতত্র বেকারি পণ্য বন্ধের জন্য প্রশাসনের তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া একটি বেকারিকে মানতে হবেঃ
ফায়ার লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি:
১. আবেদন ফরম
২. জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ০১ কপি রঙ্গিন ছবি;
৩. আয়কর প্রত্যয়নপত্র/TIN সার্টিফিকেট- ০১ কপি;
৪. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স-এর ফটোকপি ০১ কপি;
৫. মালিকানা সংক্রান্ত দলিল/চুক্তিপত্র/ভাড়ার রশিদ এবং হালনাগাদ খাজনা-দাখিলা ০১ কপি;
৬. পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভবন/প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত লে আউট প্লান/নকশা ০১ কপি;
৭. পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক অনাপত্তি ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ০১ কপি;
৮. অনুমোদিত ফায়ার সেফটিপ্লান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ০১ কপি;
৯. লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল/অংশিদারিত্বের সনদ ০১ কপি;
১০. জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত হালনাগাদ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ০১ কপি;
১১. ব্যবসার স্ব-পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে অনাপত্তি সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ০১ কপি (যেমন: হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার ইত্যাদির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনাপত্তি/লাইসেন্স, অন্যান্য- বিসিআইসি, বিস্ফোরক, বন বিভাগের সনদ, পরিবেশ সনদ, বিএসটিআই সনদ, কল-কারখানা সনদ ইত্যাদি)।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জয়পুরহাট ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন বিএফএম-এস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমার চাকরির জীবনে অনেক এলাকাতে আমার পোস্টিং হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ আইনকে শ্রদ্ধা করে, তবে এই প্রথম জয়পুরহাটের মানুষকে দেখলাম যারা আইন কে শ্রদ্ধা, সন্মান না করে ক্ষমতা বলে যা ইচ্ছে তাই করছে, আইন প্রণয়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা উচিত কারণ আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদেশক্রমে অভিযান করতে পারব।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান কে উক্ত বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, এসব বিষয়গুলো দেখা আমার কাজ না। এসব দেখবে খাদ্য অধিদপ্তর যেহেতু আমাদের উপজেলাতে বি এস টি আই এর কোন শাখা নেই। আপনারা জানেন এই বিষয়গুলো জেলা সদরে তদারকি করা হয়। তাই আপনারা জেলা খাদ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করুন, সেই সাথে কোন সেক্টরের কোন কাজ এ বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরবর্তীতে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জয়পুরহাট মোঃ কামাল হোসেন এর সাথে একাধিক বার ০১৭১৬২২৮১১৭ যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে সাংবাদিকরা ব্যার্থ হন।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ