নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জলঢাকায় ইউনিয়ন পর্যায় ৪০ দিনের কর্মসূচী (নন-ওয়েজ) প্রকল্পের আওতাধীন রাস্তা প্রসস্থকরণ গাইড ওয়াল নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম হলেও প্রশাসনিক তদন্ত ছাড়াই তরিঘরি করে চলছে নির্মান কাজ। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক এমন ঘৃণ্য অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চলমান কাজের অনিয়ম দেখা গেলে ইউএনও'র নির্দেশনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গিয়ে নবনির্মিত স্থাপনাটি ভেঙে দেন। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হয়। কিন্তু একজন ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক এরকম জঘন্যতম কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও প্রশাসনের পক্ষে নেয়া হয়নি কোনরুপ কার্যকারী পদক্ষেপ। ফলে সচেতন মহলে দেয়া দিয়েছে দ্বীমত প্রতিক্রিয়া।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম বালাগ্রাম ক্লাবের নামক স্থানে। ঘটনার বিবারনে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ও কর্মসূচীর আওতাধীন (নন-ওয়েজ) প্রকল্পের মাধ্যমে বালাগ্রাম ইউনিয়নের ক্লাবের পাড়ের একটি পুকুর সংলগ্ন রাস্তার গাইট ওয়াল নির্মান কাজ চালু হয় ৪ই নভেম্বর শনিবার থেকে। চলমান কাজের দ্বিতীয় দিন সোমবার দুপুরে স্থানীয় লোকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় পুরাতন (পূর্বে ব্যবহারকৃত) ইট দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে নির্মান কাজ করছে মিস্ত্রিরা। নন-ওয়েজ প্রকল্পের কাজ যেন চলছে নয়-ছয়।
এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মুঠোফোনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও ) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মান কাজের অনিয়ম দেখতে পায় এবং চলমান কাজ বন্ধ করে দুই নাম্বার ( পুরাতন ) ইট খুলে ফেলা হয়। ফলে নির্মান কাজ স্থগিত করে অত্র ইউপি চেয়ারম্যানকে তলফ করে জবাবদিহিতার আওতাধীন নিয়ে আসে প্রশাসনসহ পিআইও কর্মকর্তা। অন্যদিকে তলব করাকালীন সময় কোনরুপ পূনার্ঙ্গ তদন্ত ছাড়াই তরিঘরি করে পুনরায় নির্মান কাজ শুরু করে চেয়ারম্যান। ৯ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার শেষ বিকালে গিয়ে দেখা যায় উক্ত নির্মান কাজের প্রায় অর্ধেক নির্মানকাজ সুসম্পর্ন করা হয়েছে।
পক্ষান্তরে স্থানীয় লোকদের মুখে মুখে কথা উঠেছে দিন দুপুরে প্রকাশ্য দিবালকে নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম হলেও প্রশাসনিক তদন্ত ছাড়াই কি ভাবে চলমান নির্মান কাজ অব্যহত থাকে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনুসন্ধানে জানা যায়, ৪০ দিনের কর্মসূচীর আওতাধীন নন ওয়েস প্রকল্পের এ কাজের জন্য নির্মানাধীন প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। যার প্রকল্প সভাপতি হয় অত্র ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রফিজুল ইসলাম। কিন্তূ পরিতাপের বিষয় প্রকল্প সভাপতি হিসাবে কাগজ পত্রাদিতে রফিজুল ইসলামের নাম থাকলেও উক্ত প্রকল্পের কাজে সমস্ত দেখভাল করেন ক্ষমতার দাপটে ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মেদ হোসেন (ভেন্ডার)। সে অনুযায়ী নির্মান কাজে রাস্তা প্রসস্থকরন গাইট ওয়াল নির্মান হবে ৩ ইঞ্চি বেট সিসি। যার প্রসস্থ হবে ১৫ ইঞ্চি এবং লম্বায় হবে ১ মিটার ৩৯ ইঞ্চি ও দৌর্ঘ হবে ২৭ মিটার।
উক্ত চলমান কাজ চেয়ারম্যানের নির্দেশে চালু হয় পুরাতন ইট দিয়ে। এ বিষয়ে বালাগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহাম্মেদ হোসেন ভেন্ডার বলেন, পিআইও কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমি পুনরায় ঠিক করে দিবো। অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম যুগের আলোকে বলেন, চলমান কাজে যে অনিয়ম হয়েছে তার তদন্ত হবেই। কাজ বন্ধ করে তদন্ত করতে হবে এমন তো বিষয় নয়। তাছাড়া গণমাধ্যমকর্মীদের করা ভিডিও লাইফে তো তথ্য প্রমানাদী রয়েছে। কাজ করুক তদন্ত হবেই।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ