আহমেদ হোসাইন ছানু, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার-
প্রতি বছরের ন্যায় ২৯শে নভেম্বর সকাল ১১টায় খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন স্কুল হেলথ ক্লিনিক মিলনায়তন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
নাটাবের খুলনার সদস্য হাসান জহির মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এস এম নূর হাসান জনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মো: সবিজুর রহমান,বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার এস এম কামাল হোসেন,বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্ট ডা. শাহানা রাজ্জাক,খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিএসএমও ডা.সুদীপ্ত সরকার, যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে কি করনীয় এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন চিত্র ও লেখনির মাধ্যমে সুন্দরভাবে একটি প্রেজেন্টেশন দেখায়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গবেষণা পরিষদ,খুলনা,সভাপতিসৈয়দ আলী হাকিম।
কুরআন তেলাওয়াত করেন। খুলনার গুণী আবৃত্তি শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস গীতা পাঠ করেন । এই মতবিনিময় সভায় খুলনা আর্ট একাডেমি,
বিজয় ৭১,বিদ্রোহী নজরুল একাডেমি,
প্রভা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র,খুলনা,
দীপালয় ইয়থ কেয়ার সহ বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠনের ৩০ জন শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকরা অংশগ্রহণ করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নাটাব খুলনার এফ. এল.এস. তরুণ কুমার বিশ্বাস।মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি সিভিল সার্জন ডাক্তার সবিজুর রহমান বলেন,যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ ও রোগী সনাক্তকরণে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা হচ্ছেন সমাজের আলোকবর্তিকা। সে কারণে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বক্তারা বলেন,যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে। বক্তারা বলেন সরকার দেশের প্রত্যেকটি জেলা,উপজেলায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সদর হসপিটাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেখানে টিভি স্ক্রিনিং সেন্টার আছে এখন থেকে সে সকল স্থানে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ে জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা রোগীদের টেস্টের জন্য প্রেরণ করার জন্য সকল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের অবহিত করেন। রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে পাঠাতে হবে এবং যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করবো সবাই মিলে।এমন স্লোগানের পরে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস যক্ষা প্রতিরোধের উপরে একটি গান রচনা করেন। সেই গানটি বাগেরহাটের গুণী সঙ্গীত শিল্পী সুর দিয়ে প্রাণবন্ত করলেন। গানটি শুনে উপস্থিত সকলে প্রশংসা করেন এবং গীতিকার ও সুরকার কে ধন্যবাদ জানান।গীতিকার সেই গানটি যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি নাটাব, খুলনা এর প্রতিষ্ঠাতা ভাষা সৈনিক মাজেদা আলীকে উৎসর্গ করলেন। তারি সুযোগ্য কন্যা খুলনার বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্ট ডা.শাহানা রাজ্জাক এর হাতে।গানের লিরিক্স তুলে দিলেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তখন শাহানা রাজ্জাক খুবি খুশি হয়ে বলেন আমার মা বৃদ্ধ হয়েছে বিছানায় আছেন আমি তাকে গানটি পড়ে শোনাবো এই ধরনের গান লেখার জন্য গীতিকার ও শিল্পীকে ধন্যবাদ জানান।সর্বশেষ আলোচনা সভার প্রধান অতিথি খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মো: সবিজুর রহমান, উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুন্দর এই অনুষ্ঠানটি পরিসমাপ্তি ঘটে।