বিকাল বার্তা ডেস্ক>>
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার নির্জন হাওরে গভীর রাতে আকরাম হোসেন (১৭) নামের এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রাজাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের উড়ার বিল সংলগ্ন পাকা সড়কের পূর্ব পাশে এই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় অটোরিকশা ড্রাইভার আলাউদ্দিন ও সুলেমান ওই মুহুর্তে সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে পাশের ধানের জমি থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আকরাম হোসেনের চিৎকার শুনতে পান। এসময় তারা গাড়ি থামিয়ে আকরাম হোসেনের গলাকাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে জামালগঞ্জ থানায় খবর দেন। খবর পরে থানা থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আকরাম হোসেনকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে পুলিশ হাসপাতালে এসে আহত আকরাম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখতে পান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। পরে আকরাম হোসেনের কাছ থেকে তার চাচা আবদুল কাদিরের নাম্বার নিয়ে ফোন করলে তিনি রাতেই এসে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আহত অবস্থায় আকরাম হোসেনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসকধীন অবস্থায় আকরাম হোসেনের মারা যান।
নিহত আকরাম হোসেনের চাচা আবদুল কাদির জানান, আমার ভাতিজা আকরাম হোসেন সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুরের কুতুবপুর নামক এলাকায় তার বাবা মা ভাইবোনসহ একটি ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতো। নিহত আকরাম হোসেনের বাবার নাম মো. রফিকুল ইসলাম। তাদের গ্রামের বাড়ি দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহেদুল আলম ভূঁইয়া জানান, শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে কয়েকজন ছেলে আশংকাজনক অবস্থায় আকরাম হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীর অবস্থা অত্যধিক খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট প্রেরণ করা হয়। তবে তার গলা ও হাতে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ. ম কামাল হোসেইন বলেন, জখমী অবস্থায় আকরাম হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছে আজ (রবিবার) রাত সাড়ে আটটায় তার জানাজা হবে। জানাজার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবং আমরাও বিভিন্ন ভাবে দোষীদের শনাক্ত করার জন্য অনুসন্ধান চালিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।