প্রতিনিধি: জামালপুর
জামালপুর জেলা মেলান্দহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে মেহমান হয়ে মঞ্চে জামায়াত নেতাদের সাথে বসে মেলান্দহ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কিশমত পাশা।
এ নিয়ে থানা এবং জেলাজুড়ে চলছে সমালোচনা। এতে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
(২০ মার্চ) বৃহস্পতিবার মেলান্দহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মেহমান হন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলা জামায়াতের ইফতার মাহফিলে প্রথম সারিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল আওয়াল। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন,জেলা নায়েবে আমির খলিলুর রহমান, জামায়াত নেতা রশিদুজ্জামান সহ উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
বিষয়টি নিয়ে পরে স্থানীয় শিবিরের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা জানান, গত স্বৈরাচার সরকারের আমলে মেলান্দহ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কিশমত পাশা জামায়াত-শিবিরকে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে দেননি। এছাড়া গত ১৫ বছরই বিরোধী শক্তি দমনে তার ছিলো সক্রিয় ভূমিকা। কিসমত পাশা ও তার পরিবারের দাপটে জামায়াতের ইফতার মাহফিল পর্যন্ত বন্ধ ছিলো। অথচ তিনিই কি না আজ ইফতার মাহফিলের প্রথম সারির অতিথি।
কয়েকজন সাবেক শিবির নেতা বলেন- এই আওয়ামী লীগ নেতা কিসমত পাশা ও তার পরিবারের দাপটে বিগত দিনগুলোতে আমরা ইফতার মাহফিল করতে পারিনি। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলেও বাধা দিয়েছেন তিনি। স্বৈরাচারী হাসিনা পতনের পর এই আওয়ামী লীগ নেতা কিসমত পাশাকে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে দেখে কষ্ট হচ্ছে, এবং আমরা ব্যথিত ।
আওয়ামী লীগ নেতা অতিথি হওয়ায় জামায়াতের অনেক নির্যাতিত নেতারা বলেন, শুধু অতিথি নয়। আমাদের প্রথম সারির কিছু নেতা তাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়েছেন। আর এ কারণেই আওয়ামী দোসররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জামায়াতের ইফতার মাহফিলে অতিথি হচ্ছেন। সেই সাথে এখনো দাপটের সাথে পাশা পরিবার ঘুরাফিরা করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি অধ্যাপক হারুণ অর রশিদ বলেন, ইফতার মাহফিলে দাওয়াত পেয়েছিলাম। অন্য একটি ইফতার মাহফিল থাকায় যেতে পারিনি। তবে ইফতারের পর ফেইসবুকে বিষয়টি দেখলাম। এই কিসমত পাশার পরিবারের কারণে আমরা জামায়াতের নেতা কর্মীরা নির্যাতিত। তাদের কারণে মেলান্দহ ইফতার মাহফিল পর্যন্ত করতে পারিনি। কিসমত পাশার সাথে জামায়াতের কোন নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে এই অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি কেন করা হলো তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খুবই দু:খজনক। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর এই কিসমত পাশা ও তার পরিবারের সকল শাস্তির দাবী করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে উপজেলা জামায়াতের আমির ইদ্রিস আলীকে তার মুঠোফনে একাধিকবার কল দিলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ