সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো:: আব্দুল আলিম রানা
বুধবার সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন পানিবন্দি বানবাসি হাজার হাজার মানুষ”। উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় গভীর রাত থেকে এখন অবধি পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ, ছাত্র-তরুণ যুবকরা উদ্বার কাজে প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জৈন্তাপুর উপজেলায় হঠাৎ করে এই আকষ্মিক বন্যায় নিজপাট, জৈন্তাপুর এবং দরবস্ত ইউনিয়নের একাংশ সহ নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
আশ্রয় কেন্দ্রে উদ্বার হওয়া মানুষের খোজঁ-খবর নিতে ভোরে জৈন্তাপুরে ছুটে আসেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।
(বুধবার ২৯ মে-২০২৪ খ্রি:) সন্ধ্যা রাত থেকে পানিন্দি শত শত পরিবার ( নারী-পুরুষ-শিশু) উদ্বোগ-উৎকন্ঠা ও আতংকিত হয়ে প্রাণে বাচাঁর আকুতি জানান। তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনের সব উইং মাঠে উদ্বার তৎপরতা কাজে চলে যান। খবর পেয়ে রাতেই যোগদেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগণ, ছুটে আসেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক,ছাত্র-তরুণ-যুবক সহ শত শত জনতা উদ্বার কাজে সহায়তা করতে থাকেন এবং উদ্বার কাজ এখন অবধি চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি সিলেট সেক্টরের সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে জীবনের ঝুকি নিয়ে উদ্বার কাজ ও ত্রাণ সহায়তা শুরু করেন। নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম লিয়াকত আলী তিনি ভোরে ৫ টি নৌকা দিয়ে উদ্ধার কাজে সহায়তা করছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালিক রুমাইয়া সরকারের উপর মহলে বন্যার বিষয়টি ওয়াকিফহাল করে তিনি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্বার কাজে নামেন।
রাতে দফায় দফায় খবর আসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারী-গোয়াইন ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ছুটে আসেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম লিয়াকত আলী,বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জৈন্তাপুর মডেল থানায় অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম), যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ সহ অনেক নেতৃবৃন্দ।
উপজেলার সবক’টি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-কে আশ্রয় সেন্টার হিসাবে চালু করা হয়েছে ।