কাইথাং খুমী
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি পাহাড়ি জনজীবন। স্বাভাবিক ফিরেছে পাহাড়ের সাধারণ কর্মজীবনও।
তীব্র গরমে গেল অস্বস্তি জীবন কয়েকদিনে। তাপদাহের মধ্যে পাহাড়ের নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির, সংকটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ভোগান্তিকর। এদিকে তাপদাহ অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পাহাড়ি জনজীবন।
বান্দরবানে থানচিতে পাহাড়ের বসবাসরত কয়েক জনের কাছে জানতে চাইলে, এ বিষয়ে যুগ যুগ ধরে এভাবেই পাহাড়ের সাথে মোকাবেলা করতে করতে জীবন টা অতিক্রম করে আসছে গহীন পাহাড়ি আমাদের ধারাবাহিকতা জনজীবন। এবারে তীব্র গরমে সহ্য হচ্ছে না কোনোটিতে এদিকে তাপদাহের ঝর্ণা-ঝিরিগুলোর শুকিয়ে যাওয়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ছড়া-খাল থেকে পানি আনতে সময় লেগে যায় প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা। অস্বাভাবিক সময় কাটলো দিনের কর্মজীবন। তবে কয়েক দিনের কিছু বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক জীবন স্বস্তি আছেন বলেন তারা।
এ বিষয়ে রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, থানচিতে বিশেষ করে তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়ন অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। কিছু কিছু মানুষ সমতলে পেশাদারি হলেও বেশির ভাগ জুম-চাষের উপর নির্ভশীল শতাধিক মানুষ। পাহাড়ি আদিবাসীরা পাহাড়কে বেশি ভালবাসে তাই পাহাড়ের জীবন ধারণ করতে পছন্দও বেশি। যুগ যুগ ধরে কেউ কেউ সমতলে আবার কেউ কেউ অসমতল জায়গাতে বাস করেছে। এখনো বেশির ভাগ দুর্গম পাহাড়ি অসমতল জায়গা গুলোতে বসবাস করে।
তিনি আরও জানান,সুতরাং বর্তমান প্রেক্ষাপট ভৌগলিক অবস্থানে আবহাওয়াই পরিবর্তন, অনিয়মে পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও ঋতু পরিবর্তনে শীত, গরম ও বর্ষা মৌসুমে বন্যা ইত্যাদি এসবই কারণে আজকের চরম আতঙ্কে মধ্যে পাহাড়ের সাধারণ জনজীবন। তীব্র তাপপ্রবাহে কোথাও কলেরা, আমাশয় ও ডায়রিয়া কিছু জায়গায় হলেও, সংক্রমণে এমন আশঙ্কা জনকভাবে খবর পাওয়া যায় নি। এদিকে তীব্র গরমে পাহাড়ের ঝিরির শেষ প্রান্তে মাটির নরম অংশে গভীর গর্ত খুঁড়ে অল্প পানি কষ্ট করে আনতেই হলেও, কয়েক দিনে টানা বৃষ্টিতে কিছু টা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক জীবন স্বস্তি ফিরিয়ে পেয়েছে পাহাড়ের সাধারণ কর্মজীবন।