বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা:
নগরীর খানজাহান আলী থানার যোগিপোলে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি ও মশিয়ালী গ্রামের আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি জাফরিন শেখকে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় শিরোমনি বৈশাখি মার্কেটের সামনে থেকে খানজাহান আলী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই পীযুষ এর নেতৃত্বে , এস আই অয়ন তীর্থ পাইক , এ এস আই নিরু বিশ্বাস সঙ্গীয় অফিসার সহ আসামি জাফরিন শেখকে (৩৫) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জাফরিন মশিয়ালী গ্রামের মৃত্যু হাসান শেখ এর পুত্র । পুলিশ জানায় তার নামে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র, হত্যা , ধর্ষন সহ একাধিক মামলা রয়েছে। আদালত থেকে জামিনে এসে সে পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়েছিলো। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদীনির সাথে রেখা (২৭) (ছদ্দনাম) বিগত ২ মাস পূর্বে দৌলতপুরে পরিচিত হয় আসামির তখন আসামি বাদিনীর মোবাইল নম্বর নেয়, পরবর্তিতে তাদের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা হয়। একপর্যায়ে বাদিনী জানতে পারে আসামি ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি এরপর তার স্ত্রীও রয়েছে ,তারপরেও মামলার বাদিনীকে আসামি জাফরিন বিবাহের চাপ দিতে থাকে , বাদিনী যদি আসামিকে বিবাহ না করে তাহলে তার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগি ওই তরুনী আসামির ফোন নম্বর ও ফেসবুক ব্লক করে রাখে। গত ৬ জুন আসামি জাফরিন এর বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় সাধারন ডায়েরী করে ভুক্তভোগি ওই তরুনী । এরপর গত ৭ জুন রাত আনুমানিক ১০ টা ৪০ মিনিট এর সময় যোগিপোল ৪ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগি ওই তরুনীর বাড়িতে যায় আসামি জাফরিন, এ সময় তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললে আসামি জাফরিন জোরপূর্বক তরুনীর রুমে প্রবেশ করে বাদিনীকে জাপটে ধরে তার পরনের সেলোয়ার খুলে ফেলে এবং ধর্ষনের চেষ্টা করে ও শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে। বাদিনীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও তার মা এগিয়ে আসলে আসামি রুম থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খানজাহান আলী থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি জাফরিনকে অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আটক করা হয় , এবং তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী মামলার বাদী বলেন আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তিনি কেএমপির পুলিশ কমিশনার , খানজাহান আলী থানার ওসি সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের নিকট ন্যায় বিচার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন। এছাড়া জাফরিনকে আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা থানায় গেলে আসামি জাফরিন সাংবাদিকদের সাথেও খারাপ আচরন করে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ