স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোণায় সদর উপজেলায় তাতীয়র সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মগড়া নদী হইতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধবাভে বালু উত্তলন হচ্ছে প্রতি রাতে। গভীর রাত হইতে ভোর রাত পর্যন্ত নদী হইতে অর্ধ কোটি টাকার বালু উত্তলন করে বিভিন্ন নৌকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাঠায়। এলাকাবাসী জানায় প্রতি রাতে ১৫ থেকে ২০টি স্টীলের বড় নৌকা ভর্তি করে চোরাই বালি উত্তলন করে এবং এর সাথে এলাকার একটি সংর্ঘবদ্ধ চক্র জড়িত রহিয়াছে। মোঃ আব্দুর রহমান এইসব নৌকা ও চক্র ম্যানেজ করে বিগত সরকারের আমল হইতে বর্তমানেও নিরবিধায় অবৈধবাভে বালি উত্তলন করিতেছে। ফলে নদীর দুই পাড়ের বসতি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংঙ্খা দেখা দিয়েছে। এই অসাধু চক্রটি প্রশাসনেকে ফাঁকি দিয়ে প্রতি রাতেই চুরি করে বালু উত্তলন করে থাকে। এলাকাবাসী তাদের আটক করে প্রযোজনীয় শাস্তি দাবি করিয়াছে। নেত্রকোণায় সদর উপজেলায় তাতীয়র সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মগড়া নদী হইতে ‘বোমা’ (ড্রেজার) মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করছে স্থানীয় একটি চক্র। এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, তেমনি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এলাকার রাস্তা—ঘাট, জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে চক্রটি তাদের অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন—২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। এ আইনকে অবজ্ঞা করে নেত্রকোণা সদর উপজেলায় তাতীয়র সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মগড়া নদী হইতে মোঃ আব্দুর রহমান, পিতা— মোঃ মালেক, সাং—ঠাকরোকোনা, থানা— জেলা নেত্রকোণা, নামের এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। পরিবেশ বিষয়ক আইনি সংস্থা ‘বেলা’ একটি সূত্র জানায়, বোমা (ড্রজার) মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত বালু মহাল থেকে তা উত্তোলন করতে হয়। পুকুর, ডোবা—নালা বা গ্রামের বদ্ধ খাল থেকে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা—ঘাট, ফসলি জমি ও গাছপালা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।