স্টাফ রিপোর্টার:
মানুষ মানুষের জন্য এ গল্পের বাস্তব উদাহরণ দিলেন ১৪৫ শেরপুর ৩ আসনের সরকারদলীয় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম। নিজ নির্বাচনী এলাকার ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা এক দরিদ্র কিশোরী কন্যার গুরুতর অসুস্থতার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গেলেন সাংসদ এডিএম শহিদুল ইসলাম।
গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের জড়া কুড়া গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ১৭ বছর বয়সী কিশোরী কন্যা গুরুতর অসুস্থ কল্পনা আক্তার কে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে যান তিনি। গুরুতর অসুস্থ কল্পনা আক্তারের শয্যা পাশে
দাঁড়িয়ে তার চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন এবং রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। জানাযায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জড়াকুড়া গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র অসহায় আফতাব উদ্দিনের কন্যা কল্পনা আক্তার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ রয়েছেন। বর্তমানে সে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হত দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে অর্থের অভাবে তার পরিবার উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারছে না। তাই কল্পনার পরিবারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অসহায় পরিবারের আর্তনাত শীর্ষক মানবিক আবেদন পোস্ট করা হয়।
আর এই মানবিক পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নজরে আসেন সংসদ সদস্য এডিএম শহীদুল ইসলামের।
অবশেষে গুরুতর অসুস্থ কিশোরী কন্যা কল্পনা আক্তার কে এক নজর দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এ গিয়ে হাজির হন মানবতার ফেরিওয়ালা তৃণমূল থেকে উঠে আসা নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম।
শ্রীবরদী উপজেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন লোকাল বয়েজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
এজেড রুমান বলেন, দরিদ্র কিশোরী কন্যা কল্পনা আক্তারের শয্যা পাশে গিয়ে বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন সাংসদ এডিএম শহীদুল ইসলাম।
অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কল্পনা। তার দরিদ্র পরিবারের চোখে মুখে যখন হতাশার সাব বইছে ঠিক সেই মুহূর্তে গিয়ে কল্পনার যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে পরিবার কে সাহস জোগালেন তিনি। অবশ্যই এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এমপি মহোদয়ের এ মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শেরপুর জেলা জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারেক মুহম্মদ আব্দুল্লাহ রানা বলেন,
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এডিএম শহীদুল ইসলাম কল্পনা
আক্তারের শয্যা পাশে গিয়ে আবারো প্রমাণ করলেন জনগনের নেতা তিনি।
তার এমন ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
মানুষ মানুষের জন্য এ গল্পের বাস্তব উদাহরণ দিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন প্রতিটি মানুষেরই সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর আমার দায়বদ্ধতা থেকে আমি কল্পনা আক্তারের শারীরিক অবস্থা খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসার দায়িত্বভার নিজে গ্রহণ করেছি।
আমার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে কিশোর বয়স থেকেই মানুষের কল্যানে কাজ করে আসছি। আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজেকে মানুষের সবাই নিয়োজিত রাখবো। আর আমরা যে যেখানে আছি সেখান থেকেই একটু মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলেই অনেক হত দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে সবাই এগিয়ে আসি।