মেহেদী হাসান, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া। বিশেষ করে আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জুয়ার নেশায় পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মন মানসিকতা নষ্টের পাশাপাশি, উল্টো হাজার হাজার টাকা ও সময় নষ্ট হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কোনোভাবেই অনলাইন জুয়ার এই মহামারি ঠেকাতে পারছে না।
প্রযুক্তির প্রসারে সমগ্র জেলার সবখানেই মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে স্মার্টফোন, রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। স্থানীয়রা বলছেন, গেলো বিপিএল আর বর্তমান শুরু হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট লিগ আইপিএল কেউ বা প্রতি বলে কেউ আবার ওভারবাজি খেলতেছে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে শেয়ার বাজারের মতো মুহূর্তের মধ্যে উঠানামা করছে প্রতিটি দলের বাজারদর। স্মার্টফোন আর সহজলভ্য ইন্টারনেটের কারনেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন গেম আর জুয়া খেলায়।
বিভিন্ন সাইট ও অ্যাপের বদৌলতে এই অনলাইন জুয়া মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোর-তরুণরা এর প্রধান শিকার হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ দোকানে নিচে সাত-আটজন প্রত্যেকের হাতে স্মার্টফোন সকলেই মগ্ন অনলাইন গেম ও জুয়া খেলায়। এলাকার দোকান, ভবন, গাছতলা কিংবা সড়কের বিভিন্ন স্থানে দিনের প্রায় সব সময়ই দেখা মেলে এ রকম দলবদ্ধ কিশোর-তরুণদের। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানালেন, দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়ই এসব কিশোর-তরুনদের চলে যাচ্ছে এই নেশার পেছনে। পড়ালেখা, খেলাধুলা, কাজকর্ম কিছুতেই তাদের মন নেই। অনেকেই পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। কেউ কেউ অনলাইন জুয়ায় টাকা জিতলেও হারছে বেশি। সেই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কিশোর-তরুণ জানায়, ফ্রি ফায়ার, ক্যাসিনো, জেডউইন, জেডবাজ, মারবেলবেট, বাজি ৯৯৯, ওয়ানএক্সবেট,এমসিডব্লিউ, জয়া, পাবজি, লুডু, ক্যারামবোর্ড এর মতো প্রায় অর্ধশত অনলাইন গেম, জুয়ার সাইট ও অ্যাপ রয়েছে। এসব প্লাটফর্ম নানা ধরনের আকর্ষণীয় অফারের মাধ্যমে আকৃষ্ট করে। একবার কেউ এই মরন-ফাঁদে পা দিলে আর এ জগত থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
অভিভাবক বাবুল হোসেন বলেন, গাছতলা, দোকানঘর, চা-দোকানসহ রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন স্থানে ছেলেরা দল বেঁধে বসে থেকে মোবাইল গেম ও অনলাইন জুয়ায় মত্ত থাকে। নিষেধ করলেও তারা কারো কথা শোনে না। যেসকল স্থানীয় দোকানদারের ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে, তারা টাকার লোভ ও ব্যাবসার উদ্দেশ্যে এসব কিশোর-তরুনকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড সরবরাহ করে থাকেন।
অপর অভিভাবক আব্দুল মতিন জানান, অনলাইন জুয়ার নেশায় পড়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। জুয়া খেলার জন্য বাচ্চারা অতিরিক্ত টাকার জন্য পরিবারে চাপ দেয়। ফলে কেউ কেউ চুরিতেও জড়িয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এসব ছেলেরা কোনো মানুষ হতে পারবে না। তখন হয়তো তারা চুরি-ছিনতাই, মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়বে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে মাদক ও জুয়ার বিষয়ে বেশি বেশি অভিযান চালিয়ে তারাগঞ্জের আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে অনুরোধ করেন।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ