আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পুলিশের হাতে রমিজ মিয়া (৫৫), নামের এক আসামির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত রমিজ মিয়া বুরুঙ্গাছড়া গ্রামের মৃত হারাবুল্লার ছেলে।
তাহিরপুর থানাধীন ট্যাকেরঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে এমন
অভিযোগ করছেন নিহত রমিজ মিয়ার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ (১৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকাসহ পুরো উপজেলায় আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়। নিহত পরিবারের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম (৪৫) বলেন, আমার স্বামী বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে দোকানে ছিল। বিকালে মোটরসাইকেলে দুইজন লোক আইয়া দোকানের সামনে নামে। পরে একজন তাকে নাম জিগাইলে আমার স্বামী নাম কওয়ার পরেই বুকে জুড়ে থাপা মাইরা শার্টের কলারে ধরে। পরে তারে কেন ধরা হইছে কইলেই ওই লোক আমার স্বামীরে চড়থাপ্পড় মারতে মারতে টানতে টানতে গাড়িতে তুলতে চায়। এ সময় আমার স্বামীর নাকেমুখে রক্ত আইয়া অজ্ঞান হইয়া মাটিতে পড়ে গেলে ওই লোক পুলিশ কইয়া মোটরসাইকেলে উইঠা ফালাইয়া যায়। এই পুলিশের মারধরের আমার স্বামী মারা গেছে। আমার স্বামীর বিচার চাই।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই জিয়াউর রহমান জিয়ার বক্তব্য জানতে তাকে না পাওয়া তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) নাজিম উদ্দীন বলেন, এমন একটি ঘটনা শুনের পর সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসছি। তার মৃত্যু কারণ কি তা বিস্তারিত জেনে পরে আপনাকে জানাচ্ছি। আর নিহত রমিজ মিয়া ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ছিল।