বিকাল বার্তা ডেক্স:
বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে বিক্রি করাতেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মহিম। দায়িত্বে থেকে মাদক কারবারিদের সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি। এ কাজ না করতে চাইলে বা ছেড়ে দিতে চাইলে দেওয়া হতো হুমকি। বিভিন্ন মামলার আসামিদেরও ফাঁদে ফেলা হতো। এভাবে জিম্মি হয়ে ইয়াবা বিক্রি করেছেন অনেকেই।
এদিকে গত বছর ১৫ জুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের এক আদেশে এসআই মো. ফরহাদ মহিমকে বাকলিয়া থানা থেকে চকবাজার থানায় বদলি করা হয়। প্রায় ৬ মাস পর আগের কর্মস্থল বাকলিয়া থানায় যোগদান করেন এসআই ফরহাদ। কক্সবাজারের উখিয়াতে ফরহাদ মহিমের বাড়ি বলে জানা গেছে।
২০২২ সালের দিকে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হয় এসআই মহিমের। থানায় তার মাধ্যমে জব্দ করা ইয়াবা বিক্রির প্রস্তাব দেন ওই এসআই। নির্দিষ্ট মাদক কারবারির কাছে পৌঁছে দেওয়াই হলো ওই যুবকের কাজ। এর বিনিময়ে খরচ হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হতো। পৌঁছানোর কাজ শেষ হলে টাকা সংগ্রহ করতেন এসআই মহিম নিজেই।
২০২৪ সালের ২৫ মে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক সিকিউরিটি সেল দপ্তরে ডাকযোগে এই অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী বোরহান উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, শুধু ওই ভুক্তভোগী যুবক নয়, বাকলিয়া থানা এলাকায় চিহ্নিত মাদক সেবনকারীদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করাতেন মহিম। বোরহানকে হুমকি দেন- যদি এসব প্রকাশ হয়, তাহলে মামলা দেব। এভাবে দিনের পর দিন মাদক বিক্রি করছেন অনেকেই।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই যুবকের সঙ্গে এসআই ফরহাদ মহিমের ইয়াবা বিক্রির তিন মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ সংগ্রহ করেছেন এই প্রতিবেদক। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মো. ফরহাদ মহিম বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। কেউ হয়তো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়ার থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি এসআই ফরহাদ মহিম নামে একজন বদলি হয়ে থানায় যোগদান করছেন। এখন উনি কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। আমি এই থানায় আসছি মাত্র তিন মাস। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেব।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) নূরে আলম মাহমুদ বলেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ মোতাবেক। বর্তমানে এ বিষয়ে তদ
ন্ত চলমান রয়েছে