সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত শিক্ষিকার নাম শংকরী রানী দে।
গত ২১শে মে রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ভাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। খবর পেয়ে ঐ আহত শিক্ষিকার সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এনে নৈশ্য প্রহরীর হাত থেকে চেয়ারটি ছিনিয়ে নিয়ে তাৎক্ষনিক রক্তাক্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার কওে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানী দে বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী রুবেল মিয়াকে বিদ্যালয় পরিস্কারের কথা বলেন। এ সময় রুবেল মিয়া প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাগে ঐ নৈশ্য প্রহরী চেয়ার হাতে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার দিকে তেড়ে আসে এবং মাথা বরাবর চেয়ার ছুড়ে মারলে শিক্ষিকার ডান চোখে আঘাতপ্র্প্তা হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে এবং মাথা ফেঁটে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকা নাসিরা বেগম, খাদিজা বেগম এ সময় ঘটনাস্থলে এসে নৈশ্য প্রহরীর তার হাত থেকে চেয়ার কেড়ে নিলে সে আবারও লোহার রড় দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানী দে’র মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী রুবেল মিয়া ভাতগাঁও ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামের মোঃ কাচা মিয়ার পুত্র।
এ ব্যাপারে হামলাকারী নৈশ্য প্রহরী রুবেল মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানী দে’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান,আমি ঐ নৈশ্য প্রহরীকে বিদ্যালিয়টি পরিস্কার করার জন্য বলতেই সে চেয়ার নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং চেয়ার ও লোহার রড দিয়ে আামর ডান চোখ ও মাথায় আঘাত করে। তিনি ডান চোখে এখন একেবারেই দেখেন না বলে জানান। তিনি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে এই নৈশ্য প্রহরীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলার ছাতকের চেচান সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন পাল জানান,এমন নেক্কারজনক ঘটনায় উপজেলার গোটা শিক্ষক সমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন । । তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে ও জানান।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সিংগের কাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম খান জানান,এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।