নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা ও প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এক অনন্য নজির স্থাপন করছে। আর এই যাত্রার ঢাকায় অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন এলজিইডি ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: বাচ্চুমিয়া। একাধারে প্রশাসনিক দূরদৃষ্টি, প্রকৌশল দক্ষতা এবং গঠনমূলক নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের কাজকে পৌঁছে দিচ্ছেন নতুন উচ্চতায়।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মো: বাচ্চুমিয়া কেবল একজন প্রকৌশলী নন, বরং তিনি একজন দূরদর্শী পরিকল্পক, যিনি প্রতিটি প্রকল্পে গুণগত মান নিশ্চিত করতে আপসহীন। এলজিইডির আওতায় সড়ক, সেতু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণে তার তত্ত্বাবধানে যে পরিমাণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সময়ানুবর্তিতা অনুসরণ করা হচ্ছে, তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার মতো একটি জটিল নগর কাঠামোয় সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহজ নয়। কিন্তু মো: বাচ্চুমিয়ার সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় এ অঞ্চলে এলজিইডির কার্যক্রম পেয়েছে অভাবনীয় গতি। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প পরিদর্শন, ঠিকাদার নিয়ন্ত্রণ, সময়মতো কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নসহ প্রতিটি ধাপে তার আন্তরিক তদারকির ছাপ স্পষ্ট।
সম্প্রতি এলজিইডির কিছু প্রকল্প সময়মতো ও নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক সন্তোষ পরিলক্ষিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন থেকে শুরু করে নগরায়ণ প্রকল্প পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে টেকসই অবকাঠামো নিশ্চিত করায় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন কর্মনিষ্ঠ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে।
তবে কেবল প্রকল্প বাস্তবায়নই নয়, অফিস ব্যবস্থাপনায়ও রয়েছে তার কঠোর দাপ্তরিক শৃঙ্খলা। সহকর্মীদের মাঝে তার নেতৃত্বগুণ ও কর্মদর্শনের প্রতি রয়েছে গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধা। একজন কর্মকর্তা কীভাবে কর্তব্যনিষ্ঠ থেকে জনসেবায় নিয়োজিত থাকতে পারেন, তার জীবন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন মো: বাচ্চুমিয়া।
অনেকেই যখন প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে উন্নয়ন প্রকল্প ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ তোলেন, তখন মো: বাচ্চুমিয়া প্রমাণ করেছেন—সততা, পরিকল্পনা ও নেতৃত্বগুণ থাকলে সরকারি উদ্যোগও হতে পারে কার্যকর ও জনবান্ধব।
প্রশাসনের অভ্যন্তরেও মো: বাচ্চুমিয়ার পেশাদারিত্ব ও সৎ অবস্থানের জন্য তাকে বলা হয় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া প্রকৌশলীর প্রতীক’। নানা সময় নানা চক্রান্ত ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠলেও তা কখনো তার অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারেনি। বরং সময়ের পরীক্ষায় বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন এক সাহসী, দায়বদ্ধ ও দৃঢ়চেতা কর্মকর্তা হিসেবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন স্বচ্ছতা ও গুণগত কাজই উন্নয়নের মূলমন্ত্র, তখন এলজিইডির মতো সংস্থাকে নেতৃত্ব দিয়ে যিনি বাস্তবিক উন্নয়নের ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি নিঃসন্দেহে দেশের অমূল্য সম্পদ।