জামালপুর প্রতিনিধি:
আসন্ন ২১ মে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্ডের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার উপরে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৭৪ টি। স্কুল, কলেজ , মাদ্রাসার শিক্ষক সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর হতে মোট ১৬৪৬ জন কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন । এতে প্রিজাইডিং অফিসারের সংখ্যা ৭৪ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫২৪ জন, এবং পোলিং এজেন্ড ১০৪৮ জন । নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিজাইডিং অফিসারগণ সম্মানী পাবেন ৮ হাজার টাকা, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬ হাজার টাকা , এবং পোলিং এজেন্ডরা ৪ হাজার টাকা ।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের লবিং করে গুনতে হয়েছে জনপ্রতি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকেই ঘুষের টাকা নিয়েছে সুপারভাইজারদের মাধ্যমে । আবার অনেকে সরাসরি লবিং করেছে । এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । দূর্ণীতির বিষয়টি আলোচিত সমালোচিত এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জড়িত ।
অনুসন্ধানে আরো বেড়িয়ে আসে, জামালপুর জেলা শহরে পিটিআই ট্রেনিংয়ে থাকা ২২ জন শিক্ষকের মধ্যে শামীমা আক্তার, আকলিমা আক্তার, এবং আব্দুলল্লাহ আল মামুন সহ তিন শিক্ষক। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী ডিউটি পেয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালিকাভুক্ত শিক্ষক নির্বাচনী ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করেও নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করতে পারেনি এমন এক ভুক্তভোগী আক্ষেপ করে বলেন, আজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললে আগামীকাল উদ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রশ্নের তোপের মুখে পরতে হবে । নিজের চাকরি চলে যাবে । উপর থেকে সব সিস্টেম করা । স্টেটম্যান্ট দিয়ে কোন লাভ হবে না বলে জানান তারা, এবং বলেন তবে দেওয়ানগঞ্জে ঘুষ ছাড়া নির্বাচনী ডিউটি পাওয়া যায়না । নির্বাচনকালীন সময়ে দুর্নীতির বিষয়ে সরাসরি কারো কোন অভিযোগ না থাকায় গত কয়েক বছর থেকে নিয়মিত নিয়মে পরিণত হয়ে আসছে ।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মো. মুক্তার হোসেন বলেন গত তিনটি নির্বাচনে (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, ইউপি নির্বাচন) এ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে আমি শুনেছি, এবারও শুনলাম কিন্তু কোন প্রমাণ পায়নি । আপনাদের মাধ্যমে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো । আপনারা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, আপনারা নির্বাচন কমিশারের সাথে যোগাযোগ করেন । আমি নির্বাচন কমিশনারের সাথে অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো ।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ