মোহাম্মদ হোসাইন (মাসুম)
স্টাফ রিপোর্টার-
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীই হচ্ছে পেশার দিক থেকে শ্রমজীবী মানুষ। তাই যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্যই শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। শ্রমিকজনতার ভাগ্য পরিবর্তন না করে দেশের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শ্রমিকদের এগিয়ে নিতে হবে। আর দেশের ইতিবাচক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের জন্য শ্রমিক জনগোষ্ঠীকে পরিবর্তনের মিছিলে শামিল করতে হবে। সুতরাং যারাই পরিবর্তনের জন্য, সমৃদ্ধির জন্য, ইনসাফের জন্য কাজ করতে চায়, তাদেরকে অবশ্যই শ্রমিকদের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ২০২৪ সালের বার্ষিক পরিকল্পনার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে আ ন ম শামসুল ইসলাম উপর্যুক্ত কথা বলেন।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নুরুল আমিন। প্রোগ্রামে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগরীর সহ-সভাপতি নজির হোসেন। ওরিয়েন্টেশনে উপস্থিতি ছিলেন মহানগরীর কার্যনির্বাহী কমিটি, কার্যকরি পরিষদ,থানা,সেক্টর ,ওয়ার্ড ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমাদের এই সংগঠন একটি সর্বাত্মক আন্দোলন হলেও এর মূল পরিচয় হচ্ছে এটি একটি দাওয়াতী কাফেলা। তাই দাওয়াতী কাজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন। শ্রমিকদের দ্বীনের মৌলিক বিষয়ের শিক্ষা দেবেন। মানুষকে কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষায় আলোকিত করার চেষ্টা করবেন। খুশু-খুজুসহ নামাজ আদায়ের জন্য উৎসাহী করে গড়ে তুলবেন। সর্বপর্যায়ের জনশক্তির সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শ্রম আইন, ইসলামী শ্রমনীতি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে। আর মনে রাখবেন, শ্রমিক আন্দোলন মানেই ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন। প্রত্যেক সেক্টরে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলতে আপনাদের যত্নবান হতে হবে। বিশেষ অতিথি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের জন্য সবচেয়ে বড়ো প্রয়োজন হচ্ছে ট্রেড ইউনিয়নে নিজেদের অংশগ্রহণ মজবুত করা। আর ট্রেড ইউনিয়নের জন্য প্রয়োজন শ্রমিকসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। আমাদের প্রত্যাশা, শ্রমিক দায়িত্বশীলগণ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনায় বিশেষ নজর দেবেন। বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বর্তমান দুর্নীতিপরায়ণ, ফ্যাসিবাদী, মানুষের অধিকারহরণকারী আওয়ামী লীগ সরকার ও আওয়ামী নেতৃত্বকে কেউ চায় না।
ফলে জনগণের চাওয়া হলো ইতিবাচক নেতৃত্ব। নেতৃত্বের এই শূণ্যস্থান পূরনে ইসলামী আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের সামনে বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে, সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনকে শ্রমিকজনতার আরও প্রিয় সংগঠনে পরিণত করতে শ্রমিকনেতৃবৃন্দ ও দায়িত্বশীলদের ভূমিকার বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করব। তিনি মিথ্যা মামলায় আটক বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মকবুল আহমদসহ সকল শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানান।