অসিত চক্রবর্তী:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবী আদায়ে চলমান আন্দোলনে "বৈষম্য বিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ" এর অবস্থান এবং "বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ" করায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন দেশের বৈষম্য বিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাগেছে বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অগনতান্ত্রিক উপায়ে চলমান আন্দোলন ও এর অভিঘাতে সৃষ্ট সংকট দেশব্যাপী গভীর অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে "বৈষম্য বিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ" নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে আন্দোলন কারীগনকে প্রচলিত বিধি মেনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন-নিবেদন করে সংকটের শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে। রেগুলেটরি সংস্থা বাপবিবো ও এর অধিনস্তঃ পবিস সমূহ পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে একে অপরের পরিপূরক। ফলে এই পরিষদ আশা করে যে, হটকারী ও জনদুর্ভোগ হয় এরুপ কর্মসূচী পরিহার করে আন্দোলনকারীগন জনস্বার্থে বিধিসম্মত গনতান্ত্রিক পন্থায় উদ্ভূত সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবেন বলে তারা আশা করেন।
বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে অন্যায়ভাবে নানা অযুহাতে বৈষম্যের শিকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারীর বৈষম্য নিরসনে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনামতে তাঁদের সমন্বয়ে "বৈষম্য বিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ" গঠন করা হয়েছে। এই পরিষদের এর মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অযৌক্তিক শাস্তি, চাকরিচ্যুতি, এবং পদোন্নতি বঞ্চনার শিকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনের ন্যায়সঙ্গত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে বাপবিবো এর নবযোগদানকৃত কর্মচারী বান্ধব, অত্যন্ত চৌকষ ও ডাইনামিক মাননীয় চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম মহোদয়ের সাথে "বৈষম্য বিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা/কর্মচারী পরিষদ" এর ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বৈষম্য নিরসনে গৃহীত তাঁর পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর আশ্বাস ও পরামর্শের প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যা বর্তমানে বিবেচনাধীন।
সম্প্রতি সচেতন দেশবাসীর পাশাপাশি "বৈষম্য বিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ" লক্ষ্য করছে যে, স্বৈরাচার সরকার ঘনিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৮০টি পবিস এর কর্মকর্তা কর্মচারীগন দুইদফা দাবিতে বেশ কিছুদিন যাবৎ অগনতান্ত্রিক পন্থায় বিরামহীন আন্দোলন করছে। সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক দুই দফায় আন্দোলন কারীগনের সাথে সভা করে গঠিত বিভিন্ন কমিটির কার্যাদী চলমান অবস্থায় ৫ আগষ্ঠ পরবর্তী তাঁদের দাবী আদায়ের উদ্দেশ্যে তাঁরা ৮ আগষ্ঠ বাপবিবো ঘেরাও করে। সাম্প্রতিক বন্যার সময়েও বিগত ২৮ আগষ্ট বন্যার্তদের জিম্মি করে সারাদেশ কর্মবিরতির ডাক দিলে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে কর্মবিরতি স্থগিত হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে উস্কানীমূলক প্রেস নোটের মাধ্যমে তাদের দাবীর স্বপক্ষে বাপবিবো এর উপর অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টিসহ অব্যাহত ভাবে বাপবিবো এর ন্যায়-সংগত আদেশ নির্দেশ লংঘন করেছে, যা অবশ্যই প্রচলিত আইনের পরিপন্থি এবং এতে সমিতির চেইন অব কমান্ড ভেংগে দিয়েছে মর্মে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে।
চলমান আন্দোলনের একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার দাবীর প্রেক্ষিতে বিধি পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় চাকুরী বিধিমতে পবিসের প্রায় ২১ জন আন্দোলন কারীকে বাপবিবো কর্তৃক চাকুরীচ্যুত করা হয় এবং অনেকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়। প্রতিবাদে পবিস এর আন্দোলন কারীগন জনগনকে জিম্মি করে ষড়যন্ত্রমূলক তাৎক্ষনিক সারাদেশের প্রায় ৬০টি পবিসের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যা সরকারের পক্ষ থেকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরীর অপচেষ্ঠা হিসাবে আখ্যায়িত হয়। মাননীয় প্রধান উপদেষ্ঠার দপ্তরের তাৎক্ষনিক উদ্যোগে জনস্বার্থে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ