মো. মাহফুজ রহমান নড়াইল থেকে,,
হত্যা মামলার এজাহারে রিপন বিশ্বাস (২০)নামে ছেলেটির নাম নেই। তার পরও পুলিশ তাকে রোববার গভীর রাতে বাড়ি থেকে আটক করে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে চালান দিয়েছেন। আদিবাসি সমপ্রদায়ের ওই ছেলেটির দিন মজুরের কাজ করে। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের চন্ডিবরপুর গ্রামে। এর প্রতিবাদে এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় আদালত চত্বরে মানববন্ধন কমসূচি পালন করে আদিবাসি সমপ্রদায়ের প্রায় শতাধিক নারী পুরুষ। সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন ও গ্রামে গত ইউপি নিবার্চনের সময় ( পূর্ব পাড়ায়) মো. আমির শেখের ছেলে মো. ইলিয়াছ শেখকে হত্যা করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- অশোক কমর্কার, রমেশ বিশ্বাস, মিন্টু বিশ্বাস প্রমুখ। মানববন্ধন থেকে ওই পুলিশের এমন অমানবিক কর্মকান্ডের জন্য উপযুক্ত বিচার দাবি করা হয় । অপরদিকে রিপন বিশ্বাসকে অসৎ উদ্দেশ্যে মামলার আসামি করার পায়তার করা হচ্ছে। তাকে মামলা থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেবার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে অংশ নেয়া রিপন বিশ্বাসের মা সবিতা বিশ্বাস বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে পুলিশ আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। আমার ছেলেকে অত্যাচার-নিযার্তন করা হয়েছে। গ্রামের কোথায় হত্যা হইছে আমরা কেউই জানিনা। তবে আমার ছেলে দিন মজুরের কাজ করে। তার আয়ের ওপর আমার সংসার চলে। আমার ছেলেকে ছেড়ে না দিলে আমরা না খেয়ে মারা যাব। মামলার আসামি পক্ষের কৌশলী রাজিব আহম্মেদ রাজু বলেন, এ মামলা সমপর্কে রিপন বিশ্বাস কিছুই জানেনা। তিনি দাবি করেন পুলিশ একটি নিরীহ দিনমজুর ছেলেকে ধরে এনে জোর পূবর্ক স্বীকারোক্তি নিয়ে মামলার আসামি করেছেন। এ বিষয় জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদশর্ক (এস আই) আব্দুল হক বলেন, মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।