স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের জিয়াদিপুর গ্রাম ফেরিওয়ালা অসহায় সংখ্যালঘু যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, টাকা ও মোবাইল ছিনতাই৷ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যারাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে৷ নির্যাতনের শিকার
ঝরনা রানী দাশ-(৩৪) তার পিতার নাম মৃত শচীন্দ্র চন্দ্র দাশ,তিনি ওই উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের
চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা৷ তিনি সাংবাদিকদের নিকট কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার পিতা অথবা ভাই কেহ নেই, তিনি একজন অসহায় মানুষ৷ তাই গ্রামে গ্রামে ফেরি করে হাস মুরগির ডিম ক্রয় করে তা স্থানীয় শেরপুর বাজারে নিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন৷ তাই তিনি প্রতিদিনের মতো বাজার সদাই পাতি নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে ওই গ্রামের নজরুল মেম্বারের বাড়ির নিকট আসা মাত্রই পূর্বথেকে ওৎপেতে থাকা জিয়াদিপর গ্রামের আনুর মিয়ার পুত্র টমটম চালক আলফু মিয়া (২১) তাকে বাড়ি পৌঁছানোর কথা বলে টমটমে তুলে, এসময় তার অপর সহযোগী একই গ্রামের আব্দুল আলীর পুত্র কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইমন মিয়া (২২) টমটমে বসে থাকা অবস্থায় ঝরনা রানী দাশকে উত্যক্ত করে শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয় এবং কুপ্রস্তাব দেয়,এতে সে রাজী না হওয়ায় এক পর্যায়ে টমটম চালক আলফু মিয়া সহ দুই যুবক মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে পাশ্ববর্তী হাওরের নির্জন ক্ষেতের দিকে নিয়ে যেতে চায় এবং ধস্তাধস্তি করে তার কাছথেকে নগদ ৫ হাজার ২ শত টাকা ও একটি বাটন ফোন ছিনতাই করে৷
এসময় মেয়েটির আর্ত চিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়৷ হৈ হুল্লোড় চিৎকারে একপর্যায়ে গ্রামের শত শত মানুষ জড়ো হতে থাকেন,উপস্থিত হন স্থানীয় ইউপি সদস্য আমীর আলী, ইকবাল হোসেন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷
পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে রাতেই পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে, হাসপাতালে প্রেরণ করেন, পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ত হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়৷ এঘটনায় পরবর্তীতে শনিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন এর সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন৷ তিনি আরো বলেন,আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ এদিকে গ্রামবাসী অনেকেই বলেন, দুষ্কৃতকারী ইমন ও আলফুর বিরুদ্ধে এলাকায় এছাড়াও আরো অনেক অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে৷ দ্রুত গতিতে এই অপরাধীদের গ্রেফতার জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল৷
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ