ষ্টাফ রিপোটার:
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি ও বালি উত্তোলনে মহোৎসব চলছে। মাটি ও বালি খেকো ব্যক্তিগণ অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় একটি ব্রীক ফিল্ড ও গ্রামগঞ্জে।
ফলে নদীর নিকটবর্তী রাস্তাঘাট এবং ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। আর এ অবৈধ ব্যবসাটি স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে হলেও তারা অদৃশ্য কারণে নিরব রয়েছে। এদিকে দ্রুত ও বালি ও মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছেন, কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি ও বালি কাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের নিকটে স্থানীয় প্রভাবশালী কসবা গ্রামের নিশাফর মিয়া গত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে পাশের একটি হীরু ব্রীক ফিল্ডে মাটি বিক্রি করে আসছে। পাশাপশি কসবা গ্রামের রাসেল মিয়া, দিলবার হোসেন,রাশেম আহমেদ,মস্তই মিয়া,সুহেল আহমেদ,,কাশেম মিয়া,শাহ আলমগংরা কুশিয়ারা নদী থেকে দিন রাত বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। মাটি খেকো নিশাফর মিয়াসহ উল্লেখিত বালু ব্যবসায়ীর এক যুগেরও বেশী সময় ধরে বালি বিক্রি করছেন। ফলে সুনামগঞ্জ জেলার রানীগঞ্জ- আউশকান্দি ভায়া ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের জমি এবং নদীর পারের রাস্তা এবং ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তায় ট্রাক ওই রোডে চলাচল করায় রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে, জনসাধারণ তথা যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা কাঁদা মাটি এবং ধুলো বালিসহ ট্রাকের কালো ধোঁয়ার কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী মাটি খেকো নিশাফর ও বালি খেকো রাসেলগংরা কোন বাঁধাই মানছে না। এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন,নিশাফর বিগত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে হীরা ব্রীক ফিল্ডে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করে ও রাসেলগংরা বালি বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। প্রতিদিন তাদের আয় আছে প্রায় লক্ষাধীক টাকা। অবৈধ মাটি ও বালি ব্যবসায় জিরো থেকে কোটিপতি। তারা আরো জানান,
মাটি খেকো নিশাফর মিয়া,রাসেল গংরা প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি,বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। প্রশাসন কি কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমীন বলেন,উপজেলা প্রশাসন থেকে কুশিয়ারা নদীতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য আসলে আগেই তারা খবর পেয়ে যায়। তিনি বলেন এসব অবৈধ মাটি ও বালি ব্যবসায়ীদের নাম সংগ্রহ করে প্রশাসন থেকে মামলা দেয়া হলে হয়তো রক্ষা পাবে কুশিয়ারার বুক।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন,কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি মাটি,বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে তাহলে আমরা তা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ