নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত মনির মিয়ার পরিবারের লোকজন যখন ঘুমন্ত অবস্থায় তখন গভীর রাতে প্রেমের দাবী নিয়ে দরজায় নাড়া দেয় কথিত প্রেমিকা সানজিদা।গভীর রাতে সানজিদার অবস্থানে হতবম্ব হয়ে উঠে মৃত মনির মিয়ার পরিবারের লোকজন। এসময় মনির মিয়ার পুত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাহাজ উদ্দিন মিলন (২০),তার রুমেই ঘুমে ছিল। দরজায় সানজিদার ডাকাডাকি শুনে যখন মনির মিয়ার পরিবারের লোকজন দরজা খুলতেই কথিত প্রেমিকা সানজিদার দাবী ছিলো সাহাজ উদ্দিন মিলনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।ঘুম থেকে উঠে সাহাজ উদ্দিন মিলন যখন প্রেমের প্রস্তাবের কথাটি শুনতে পেয়ে বিষয়টি অস্বীকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। আর বলতে থাকে আমি মাদ্রাসায় পড়েছি আমার মানসম্মান নিয়ে কেউ খেলবেন না।এরপর রাতেই এলাকায় জানাজানি হলে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ ডিসেম্বর দিন গত গভীর রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময়।
কথিত প্রেমিকা সানজিদা একই গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে।রাত পেরিয়ে বিকেলে হঠাৎ করে ঘরের একটি রুমে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাহাজ উদ্দিন মিলনকে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওইদিন ২৪ ডিসেম্বর রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহাজ উদ্দিন মিলনের মৃত্যু হয়।শাহবুব আলম(সাবু মিয়া) নামে সাহাজ উদ্দিন মিলনের চাচাতো ভাই বলেন, কথিত প্রেমিকা আসার পর আমার চাচাতো ভাইকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছি এরকম কোনো কাজ আমার ধারা সম্ভব নয়। আমার ইজ্জত যেন কেউ না মারে।বিদেশ যাওয়ার জন্য ২৬ তারিখ হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে ফিঙ্গার দেয়ার কথা ছিল মিলনের। মৃত্যুর আগে শেষ কথা হয় তার চাচাতো ভাই হিফজুর রহমানের সাথে। মিলন বলে ভাই আমার মানসম্মান সব শেষ হয়ে গেছে, বেঁচে থাকা আর মরা এক সমান। গলা আর বুকে প্রচন্ড জ্বালাপোড়া হচ্ছে। সাহাজ উদ্দিন মিলনের পরিবার অভিযোগ এলাকায় তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে কথিত প্রেমিকার আবির্ভাব হয়। এটি তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে গ্রাম্য রাজনীতির ষড়যন্ত্র। সুষ্ঠু একটি তদন্তের মাধ্যমে সাহাজ উদ্দিন মিলনের বিষয়টি বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে চায় পরিবার।
কথিত প্রেমিকা সানজিদাকে সাহাজ উদ্দিন মিলনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানার এসআই কাজল সানজিদার পিতা আব্দুস সালামের কাছে পৌঁছে দেয়। মিলনের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের পর তার নিজ বাড়ীতে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ