এম এ কাদের, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। চলছে বিরামহীন মাইকিং। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে সুকৌশলে একে অন্যের দোষত্রুটি তুলে ধরছেন ভোটারদের
সামনে।
আগামী ৫ জুন মাধবপুর উপজেলায়
ভোট গ্রহণ করা হবে। এ উপজেলায় মোট
ভোটার ২,৭৩,১৯২, পুরুষ ভোটার ১,৩৯, ৩৩৪, মহিলা ভোটার ১,৩৩,৮৫৭, মাধবপুর উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হয়েছেন
তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ)পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। তবে ভোটারদের আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই হেভিওয়েটকে ঘিরে। তারা হলেন ৩ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এস, এফ, এ, এম, শাহজাহান (ঘোড়া প্রতীক) ও জেলা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম (আনারস প্রতিক)। এবং অন্যদিকে রয়েছে আ.লীগের সৈয়দ শাহ্ হাবিবউল্লাহ সুচন (শালিক পাখি প্রতিক)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এরশাদ আলী (বই), আব্দুল আজিজ (চশমা), সৈয়দ সামসুল আরেফিন রাজীব (তালা), আসাদুজ্জামান গেন্দু (টিয়াপাখি), মুফতি সুলাইমান গাজী (টিউবওয়েল), বাবু দিরা নায়েক দিরু (মাইক)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা তুজ জোহরা রিনা (পদ্মফুল), জাহানারা বেগম শেলী (ফুটবল), আসমা আক্তার চৌধুরী (সেলাই মেশিন) ও সেলিনা আক্তার (কলস)।
এই উপজেলায় বিগত নির্বাচনের ফলাফলের দিকে এক নজর ফিরে তাকালে ভোটের ব্যবধান আকাশ চুম্বি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে এস, এফ, এ, এম, শাহজাহান , ৭২ হাজার ৯২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৪১৪ ভোট। সৈয়দ হাবিবউল্লাহ সুচন পেয়েছে ছিলেন ৪ হাজার ৩৯ ভোট পান।
২০১৯ সালে এস, এফ, এ, এম শাহজাহান
৫৬ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এহতেশামুল বারী চৌধুরী লিপু ২৬ হাজার ৮৬৯ ভোট ও আতিকুর রহমান আতিক ২৩ হাজার ৪৯১ ভোট
পেয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট
চেয়ারম্যান প্রার্থীর দিকেই নজর ভোটারদের। তারা অন্যবারের চেয়ে এ বছর বেশি ব্যস্ত প্রচার-প্রচারণায়। বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বলা হলেও মাধবপুরের নির্বাচনী চিত্র ভিন্ন রকম। কেউ মানছেন না
কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা। বিএনপি’র নেতা কর্মীরা এক যুগে কাজ করে যাচ্ছেন শাহজাহান এর জন্য।
জাকির হোসেন চৌধুরী অসীমের পক্ষে
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের জন্য এবারের মাধবপুর উপজেলা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ- এমন মন্তব্য শোনা যায়
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখে।
সাধারণ ভোটার যেদিকে নড়েচড়ে বসবে, সে দিকেই এবার বিজয়ের মালা। কিন্তুক এস, এফ, এ, এম শাহজাহানের রয়েছে কিছু নিজস্ব ভোট ব্যাংক। জাকির হোসেন চৌধুরীরও বাগানে রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে
পারলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত সচেতন মহলের। এলাকায় অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘এবার লড়াই হবে ঘোড়া আর আনারসের।’ তবে ঘোড়া প্রতিকের জনজোয়ারের কথা শুনা যাচ্চে ভোটারদের মুখে মূখে। তাছাড়া মাধবপুর উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে নিরব ভোটারদের কাছে একটি তথ্য মিলছে অনুসন্ধানে। নিশ্চিত জয় হবে ঘোড়া প্রতিকের বলে জনজোয়ারের ঢেউ উঠেছে।