এম এইচ মেনান,স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যোনাল নিরীক্ষা কার্যালয়ের যোনাল ব্যাবস্থাপক মোঃ খায়রুল ইসলামকে ‘স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষের শক্তি’ উল্লেখ করে তাকে অপসারণের দাবীতে কার্যালয়ে অবস্থান করেন শাখা ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেইসাথে ব্যাংকের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদেও রাখা যাবে না বলে দাবী তাদের।
বুধবার (২১ আগস্ট/২৪) বিকালে জেলা শহরের ডাকবাংলো এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকটির যোনাল নিরীক্ষা কার্যালয় অবস্থান করে এ দাবি করেন যোনাল এরিয়ার ২২ শাখার শাখা ব্যবস্থাপকসহ কর্মচারীরা।
তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মকর্তাদের সরকার পতনের পরেও বিভিন্ন অযুহাতে শোকজ সহ প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহনের হুমকি দিচ্ছেন জোনাল ব্যাবস্থাপক খাইরুল ইসলাম। এছাড়াও সৈরাচার সরকার পতনের পরেও অফিস প্যাড থেকে মুজিব বর্ষের লোগো বাতিল করেননি এ কর্মকর্তা। এরআগে কারফিউ চলাকালে ঋন আদায়ের জন্য কৃষকদের চাপ দিতে ঋন আদায় ক্যাম্পের আয়োজন করার নির্দেশ দেন। অথচ গত অর্থবছরে নীলফামারীর আওমীলীগ নেতা কর্মীদের খেলাপী ঋন পুনঃতফসিলের জন্য শাখা পর্যায়ে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেন। যারা চাপ মানতে রাজি হয়নি তাদের শাস্তিমূলক বদলী সহ বিভিন্ন অযুহাতে ব্যাখ্যা তলব করেন।
ডিমলা উপজেলার নাউতারা শাখা ব্যাবস্থাপক তিতাশ চন্দ্র গোশ্চামী বলেন, তিনি নীলফামারীতে যোগদানের মাত্র পাঁচ মাস হচ্ছে। এরই মধ্যে শৈরাচারী আচরণ শুরু করেছেন অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপর। আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস করতে বাধ্য হয়েছি তার কথায়। আমরা তার অপসারণ চাই। তিনি আমাদের কাছে উৎকোচ আশা করেন, দিতে না পারলেও অখুশি হন।
তবে সকল অভিযোগকে বানোয়াট মিথ্যা দাবী করে যোনাল ব্যাবস্থাপক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, তারা যেহেতু চায় না এখানে কর্মরত থাকি তাই উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি পেলে আমি এক সপ্তাহের মধ্যে অন্যত্র চলে যাবো বলে তাদের আশ্বস্ত করেছি।