নবিজুল ইসলাম নবীন,
নীলফামারী প্রতিনিধি,
নীলফামারীর ডিমলায় কুমলাই নদী গিলে ফেলেছে ২৭০জন অবৈধ দখরদার। নদী ভরাট করে তারা নির্মান করেছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। নদী রক্ষায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ১০ দফা দাবি জানায় রিভারাইন পিপল নামে নদী রক্ষার একটি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার(২ মে) বেলা ১২টার দিকে নীলফামারী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক বেগম রোকেয়া বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। এসময় তিনি জানান, রংপুর বিভাগে যে নদীগুলো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সংকটে থাকা নদীগুলোর কুমলাই নদী একটি। নদীটি জেলার ডিমলা উপজেলার ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেশর নামক স্থানে তিস্তা নদী থেকে উৎপত্তি হয়। নদীটি প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে খালিশাচাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা এবং টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি মৌজায় তিস্তা নদীতে মিলিত হয়। বর্তমানে দখল এবং অবৈধ স্থাপনার চাপে নদীটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
কুমলাই নদী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মো. মমিনুর রহমান কাজল জানান, দখলদারের কবলে নদীরটির স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, সরকারি মহিলা মার্কেট, সেতুবিহীন একাধিক সরকারি পাকা-কাঁচা সড়ক, বাড়ি দোকানসহ নানা স্থাপনা তৈরী করা হয়েছে নদী ভরাট করে। এপর্যন্ত এধরণের ২৭০জন অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক দখলদার রযেছে।
সংবাদ সম্মেলনে নদী রক্ষায় এসব দখলদার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সিএস রেকড এবং নদীর বর্তমান প্রবাহ নিয়ে সীমানা চিহ্নিত, রেকড সংশোধন করে ব্যক্তি মালিকা বাতিল, নদীটির উৎস, মিলনস্থল, দৈর্ঘ্য-প্রস্ত প্রযুক্তির সহায়তায় লিপিবদ্ধ করা, নদী নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভ্রান্তি দূরীকরণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া, পুরোনো প্রবাহ সচল রাখা, সেতুবিহীন সড়কে নদীর প্রস্থ অনুযায়ী সেতুর ব্যবস্থা করা, নদীর ওপর থেকে স্কুল সরকারি উদ্যোগে স্থান্তর করা এবং নদীর জমি দখল, খাজনা, খারিজ, ক্রয়-বিক্রয়, রেকডভুক্ত করা কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিভারাইন পিপলের জেলা সমন্বয়ক আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমলাই নদী রক্ষা কমিটির আহবায়ক, মো. রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. মোমিনুর রহমান, বামনডাঙা নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ