নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল আসামি গ্রেফতার
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের ডিঙাপোতা হাওর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুবককে জবাই করে হত্যার পর আগুন দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের পূর্বদিকে ডিঙাপোতা হাওর থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান জানান, ভিক্টিম সাইফুল ইসলাম ঢাকার মিরপুরে থাকে এবং ভাড়ায় মোটিরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করে। গত ১৩/০৩/২৪ তারিখ ভিক্টিম সাইফুল ঢাকা থেকে তার নিজের মোটরসাইকেল ভাড়ার চুক্তিতে মাসুক ও ফয়সাল নামে দুই জন ব্যক্তিকে নেত্রকোণা নিয়ে আসে এবং ১৪/০৩/২৪ তারিখ নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ৩ নং তেতুলিয়া ইউনিয়নের হানবীর সাকিনস্থ তেল্লা বালুচরে ভিক্টিম সাইফুল এর গলাকাটা ও মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাত লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ফিংগার প্রিন্ট এর সহায়তায় ভিক্টিমের পরিচয় সনাক্ত করত: আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারে তৎপর হয়।নেত্রকোণা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে ও থানা পুলিশের তৎপরতায় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত অন্তর আহমেদ শান্ত (২১) কে আটক করা হয় এবং অন্তরের বাড়ি থেকে ভিক্টিমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটক অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে। অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যে, সে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীরা গত ১০ দিন যাবত একটি মোটরসাইকেল হস্তগত করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরবর্তীতে আটক অন্তর ও অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ভিক্টিমের মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে এসে একে অপরের যোগসাজশে ভিক্টিমকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার এর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।