নিজস্ব প্রতিনিধি: নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র বর্ত মান কমিটি প্রকাশের পর তৃণমূল ও নির্যাতিত বিএনপি পরিকল্পিত পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ৫ জানুয়ারি, বৃধবার বিকালে কেন্দুয়া রামপুর বাজার, দলপা ও আশুজিয়া ইউনিয়নের নির্যাতিত নেতাকর্মীরা মিলিত হয়ে পরিকল্পিত পকেট কামাটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন, বিএনপি নেতা ও গভেষক মেজর সৈয়দ আবুবকর ছিদ্দিক পি,এস,সি (অবঃ)। আশুজিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মনঞ্জুল হক হুক্কু মিয়া, আশুজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বকুল, আশুজিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শামীম হোসাইন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাশীম মিয়া, অন্যতম নেতা মজিবুর রহমান বাচ্ছু ও অলী উল্লাহ সহ আরও সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। উপস্থিত বক্তা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আগে যে কমিটি ঘটন করা হয়েছিল তা নেতাদের পকেট কমিটি। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যারা আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে নির্যাতিত হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা তৎকালীন ফ্যাসিষ্টি সরকারেরর নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে চলেছে তাদেরকে নিয়ে, এবং সিনিয়র নেতাকর্মীদের ইচ্ছেমত কমিটিতে রাখা হয়েছে। আশুজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বকুল বলেন, আমরা যারা ধীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত আওয়ামীলীগ স্বৈরাচার সরকারের জুলুম অত্যাচার সয্য করেছে আর নেতাদের পুতুল হয়ে তাদের ইশারায় মানতে বাধ্য নয় তাদেরকেই পকেট কমিটি থেকে বাদ দিয়ে পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ত্যাগী নেতা কর্মীরা এর তিব্র নিন্দা জানাই। এই পকেট কমিটি বাতিল করে নতুন করে আবার নতুন করে কমিটি ঘটন করার দাবি জানায়। বিএনপি নেতা ও গভেষক মেজর সৈয়দ আবুবকর ছিদ্দিক পিএসসি (অবঃ) উনি বক্তব্যে বলেন, আমি দির্ঘদিন লন্ডনে ছিলাম। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার দ্বারা আমি গুম হয়েছিলাম, জেলও খেটেছি। কেন্দুয়ার নেতারা কিভাবে কমিটি করেছে তা আমার জানা নাই। আমি অন্যদের থেকে শুনতে পাই পছন্দের নির্যতিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ইচ্ছেমত কমিটি ঘটন করা হয়েছে। আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। আপনাদের কথামত যদি পকেট কমিটিই হয়ে থাকে তাহলে তা ভেঙ্গে দিয়ে আবার নতুন কমিটি ঘটন করেই কাউন্সিল হবে ইনশাঅল্লাহ। আমি চাই যারা এতদিন ত্যাগ স্বীকার করে জেল জুলুম অত্যাচার সয্য করে বিএনপিকে মনে প্রাণে ধারণ করে এসেছে তারা যেন তাদের মূল্যায়টুকু পায়। আগামী কমিটিতে পকেট কমিটি বাদ দিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা নেতৃত্ব স্থান পাবে এমনটিই প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের।