বিশেষ প্রতিনিধ:
আজ ৩ মে’বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪, বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশন” কর্তৃক জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পালিত হয়। উক্ত র্যালি, সমাবেশ ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আবুল খায়ের ও কেন্দ্রীয় কমিটির, মহাসচিব-মোঃ মুক্তার আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মো: ইসরাফিল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য, আলমগীর হোসেনসহ আরো প্রমুখ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলেই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস দিবসের সফলতা ও সার্থকতা কামনা করেন। তারা বলেন বিভিন্ন সময় সাংবাদিকরা নির্যাতন প্রহসন এবং গুম, খুন সহ হত্যা হয়ে থাকে। আজকের এই দিবসের মাধ্যমে যেন তারা এর প্রতিকার পান এবং রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে যথাযথ সম্মান, মর্যাদা এবং সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা সুবিধা পায় এবং তারা তাদের লেখার এবং স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ পায় এটাই হোক এবারের এই দিবসের তাৎপর্য বিষয়। গণমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সামনে নিয়েই
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মে মাসের ৩ তারিখকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডো’ বা ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই দিনে মুক্ত গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা পালনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার অঙ্গীকার এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জীবন উৎসর্গকারী সাংবাদিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।
মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর মাধ্যমে নাগরিকেরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের তথ্য জানার পাশাপাশি তাঁদের নেতাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে পারেন। স্বাধীন গণমাধ্যমের অধিকারের বিষয়টি জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার দলিলের পাশাপাশি বাংলাদেশসহ অনেক দেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত।
মুক্ত গণমাধ্যম মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্যও অত্যাবশ্যক। সাংবাদিকেরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো প্রকাশ ও জবাবদিহি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া যোবসা পত্রে মতপ্রকাশের স্বাধাণতা ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে; কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে মতামত পোষণ করা এবং রাষ্ট্রীয় সীমানানির্বিশেষে যেকোনো মাধ্যমের মারফতে তথ্য ও ধারণাগুলো জানা বা অনুসন্ধান, গ্রহণ ও বিতরণ করা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার মূল্যবোধকে সম্মিলিতভাবে সমুন্নত রাখি। সাংবাদিকদের অবশ্যই হয়রানি, ভীতি বা সহিংসতার ভয় ছাড়াই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এটি সুশাসনকে সহায়তা করা ও জনসাধারণকে কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে অবহিত করা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া সাংবাদিকদের অবশ্যই তথ্যে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে এবং তথ্যের সূত্রগুলোর সুরক্ষা দিতে পারতে হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতার বাধা কারামিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন সমমনা দেশগুলো নিয়ে গঠিত, যারা বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার পক্ষে কাজ করে ও পরামর্শ দেয়।যা যে কোন দেশের সংবাদপত্রের জন্য অপরিহার্য বিষয়। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য সহায়ক মুক্ত গণমাধ্যম কি অধরাই থেকে যাবে এ ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্যও অত্যাবশ্যক। সাংবাদিকেরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো প্রকাশ ও জবাবদিহি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। এটি মুক্ত গণমাধ্যম আছে, এমন সব দেশের জন্য প্রযোজ্য। এ ছাড়া সাংবাদিকেরা নারীদের বক্তব্য ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে উন্মুক্ত আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাজের বিকাশ ও উন্নয়নের শক্তিশালী ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এমন একটা ধারা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যারা কাজ করছে, বাংলাদেশের মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্যরা তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবেন।