স্টাফ রিপোর্টারঃ- মোঃ গোলাম মোরশেদ:

জযপুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিনধারা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটি গঠন নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব রফিকুল আলম চৌধুরী (পপ্পু), প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের যোগসাজশে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে পকেট কমিটি করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক সদস্য, গ্রামবাসি ও অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। অভিভাবক সদস্য, গ্রামবাসি ও দাতা সদস্যর লিখিত অভিযোগ, বর্তমান সভাপতি মোঃ রফিকুল আলম চৌধুরী (পপ্পু) প্রভাব খাটিয়ে একাই ৬ (ছয়) টি অভিভাবক সদস্যের ফরম গোপনে গ্রহন করেন (১) শ্রীঃ মানিক চন্দ্র (২) শ্রীঃ কৃষ্ণ বর্মন (৩) শ্রীঃ শ্যামল চন্দ্র মালী (৪) শ্রীঃ সামিল বর্মন (৫) শ্রীঃ জয়ন্তী বালা (৬) তহমিনা। এবং প্রধান শিক্ষাক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ-র উপর অভিযোগ সে তফসিল যথাযথভাবে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ঘোষণা করা হলেও প্রধান শিক্ষাক তফসিলের বিষয় গোপন রাখেন। শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের তফসিল পাঠ করাও শুনা হয়নি।

এই বিষয়ে অভিভাবক সদস্য জাহিদুল আলম হিরো চৌধুরী জানান, আমি যখন জানতে পারি ইং২০/০৩/২৪ তারিখ বেলা ০২.০০ ঘটিকায় বিদ্যালয়ে এসে দেখি বিদ্যালয়ে তালা দেয়া বিধায় অভিভাবক সদস্য পদে আমি সহ অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন ফরম গ্রহন ও জমা দিতে পারি নাই।

প্রধান শিক্ষাক ও সভাপতি বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রঞ্জু চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডয়ী মৌজা বিনধারা খতিয়ান নং ৫ এর অন্তর্ভুক্ত ১৬ একর ৯৩ শতাংশ সম্পত্তির ৫ টি পুকুর যোগসাজশে ইজারার মধ্যেমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন তারা।
বর্তমান সভাপতির জানান, আমার উপরে যত অভিযোগ সব মিথ্যা। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠিত যেন না হয় সেই জন্য আমাকে প্যানেল তৈরি করতে বলে আমি প্যানেল করতে না চাইলে আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলেই সত্য পথে বাঁধা থাকবেই, সত্য পথে কষ্ট থাকবেই এটাই বাস্তব। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ঠিক আছে তদন্ত করা হক। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা দেবার কি দরকার যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে সরকার অবশ্যয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা শুনেছি লিখিত পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তবে ওখানে যেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এজন্য ওসি সাহেবকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পাঁচবিবি থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসানের আদেশক্রমে নন্দীগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রীর দ্বায়িত্বপ্রপ্ত অফিসার ইনচার্জ মাহামুদুল নবী উপস্থিত ছিলেন যাতে অপ্রতিক কোন ঘটনা না ঘটে।